উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে, এই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সঙ্গে বিদ্যাসাগর আত্মিকভাবে যুক্ত। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি উনিশ শতকের নবজাগরণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, তাঁকে যখন একুশ শতকে দাঁড়িয়ে কালিমালিপ্ত করা হয় তখন প্রতিষ্ঠানগতভাবে এবং ব্যক্তি মানুষ হিসেবে দ্ব্যর্থহীনভাবে রুখে দাঁড়াতে হয়। এইভাবে একজন মনীষীর মূর্তি ভাঙার ঘটনা সমাজের পক্ষেও সুখকর নয়, বরং ভয়ঙ্কর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটাও এর তীব্র নিন্দা করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা একটা ঘৃণ্য এবং ক্ষমাহীন অপরাধ। সভ্য সমাজের কাছে এটি একটি লজ্জার দিন। তাই আমরা চাই, সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করুক। আগামীদিনে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে, তারও আর্জি জানাচ্ছি আমরা। অন্যদিকে আবুটার সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতির বক্তব্য, কলকাতার রাজপথে যে হিংসার উন্মত্ততা, যে সীমাহীন বর্বরতা দেখা গিয়েছে, তাতে শিক্ষকসমাজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শিক্ষালয়ে যেভাবে তাঁর মূর্তি ভেঙে দেওয়া হল, তার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। ভোট রাজনীতির তাণ্ডবের বলি হল ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং আধুনিক শিক্ষার প্রাণপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকেও একটি চিঠি দেওয়া হবে।
উপাচার্যদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তাঁর ব্যক্তিত্বকে আঘাত করা হয়েছে। রাজনীতির নামে যাতে বাংলার ঐতিহ্য কলঙ্কিত না হয়, তা দেখার আর্জি জানানো হচ্ছে। এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যাদবপুর, সংস্কৃত, রবীন্দ্রভারতী, নেতাজি সুভাষ মুক্ত, বিদ্যাসাগর সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।