খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
দাম কম হওয়ায় কেউ বাড়ির জন্য দু’কেজি আবার পিকনিকের জন্য মাংস কিনে নিয়ে গিয়েছেন। কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, শুনলাম মুরগির মাংস ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই বন্ধুদের ফোন করে ডেকে নিয়ে এসে মুরগির মাংস দিয়ে পিকনিক করছি। তারপর এদিন রাস্তা ঘাটে বের হওয়া নিষিদ্ধ ছিল। আমরা বাইরে কোথাও না গিয়ে কয়েকজন মিলে পিকনিক করছি। এরকম পিকনিক অনেক জায়গায় হচ্ছে অন্যদিনের মতো ছুটির আমেজে।
এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, এখন যা অবস্থা মুরগি না বিক্রি করে দিলে তাদের খাবার ও ওষুধ দিতে আমাদের অনেক টাকা খরচ হতো। কারণ, এই অবস্থা যতদিন না নর্মাল হতো ততদিন মুরগির ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেই অনেক ক্ষতি হয়েছে গুজবে। তাই এদিন সকল ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ৪০টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করি। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতির পরিমাণ কমবে। তিনি বলেন, আমার প্রায় ১০কুইন্টাল মুরগি ছিল যা আজ সকাল ১২ টার মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কম দামে মাংস পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা এই খবর শুনেই সকাল থেকে মাংসের দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেন।
এদিকে, দাম তলানিতে ঠেকায় যাওয়া মুরগির মাংস কিনতে রানাঘাটেও শনিবার রাত পর্যন্ত ভিড় করেন মানুষ। রানাঘাটে শনিবার মাংসের দাম ৪০-৬০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে। রানাঘাটের কামারপাড়া মোড় এলাকার একটি দোকানে রীতিমতো লম্বা লাইন পড়ে যায়। অন্যদিকে, রানাঘাটের কয়েকটি বাজারে ওই রাতে ১৫ টাকার পরিবর্তে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে আলু। সব্জির আচমকা দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সেখানে খোশ মেজাজে মুরগির মাংসের দোকানে লাইন দিতে দেখা গেল বহু মানুষকে। বিভিন্ন মুরগির মাংসের দোকানে এদিন দেখা যায় মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে মাংস কিনছেন। রানাঘাটের এক ক্রেতা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, রবিবার বাড়ি থেকে বের হব না। তাই মুরগির মাংস কিনব বলে শনিবার রাতে ঠিক করি। কিন্তু সামান্য মাংস কিনতে গিয়ে কম করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। রানাঘাটের এক মুরগি ব্যবসায়ী শ্যামল নন্দী বলেন, আমরা নিজেরাও আন্দাজ করতে পারিনি শনিবার মাংসের চাহিদা এতটা বেড়ে যাবে। এই কদিন গুজবের জেড়ে আমরা মাংস বিক্রি করতে পারিনি। তবে এদিন কিছুটা লাভের মুখ দেখা গেল।