খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনা ভাইরাস জাঁকিয়ে থাবা বসিয়েছে ভারতে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বহু। যার জেরে জনসমাগম হয় এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন। এই সতর্কতার কারণে শুক্রবার থেকেই খাদ্যসামগ্রী মজুত করতে বাজারে মানুষের ঢল নামে। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে দেশে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাবে না তো? মানুষের এই আতঙ্কের মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর নির্দেশ পালনের আর্জি জানিয়ে রামপুরহাট শহরে মাইক বের করে বিজেপি। একটি টোটোর মাথায় দলীয় পতাকা বেঁধে মাইকিং করে বলা হয়, রবিবার সর্বত্র দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বাড়ি থেকে কেউ বের হবেন না।
এদিকে দলীয় পতাকা সহ এই প্রচার ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। শহরের নিশ্চিতপুরের এক ব্যবসায়ী বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে রবিবার গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের ভালোর জন্যই। কিন্তু, তাঁর দল যেভাবে দলীয় পতাকা লাগিয়ে জনতা কার্ফুর সমর্থনে দোকানপাট বন্ধ রাখতে প্রচার চালাল, তাতে মনে হচ্ছে কোনও একটা ইস্যুতে বন্ধ ডেকেছে তারা। এটা মানুষের আতঙ্ক নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
যদিও বিজেপির শহর সভাপতি নীলকন্ঠ বিশ্বাস বলেন, সবাই তো টিভি বা সংবাদপত্রে পড়ার সুযোগ থাকে না। তাই মানুষকে সচেতন করতে পার্টির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী সকলের। যে কোনও দলই এই প্রচার করতে পারত।
যদিও এব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষের আতঙ্ককে কদর্যভাবে ব্যবহার করার নজির এটা। এধরনের রাজনীতি বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। যারা মানুষের এই অসহায় অবস্থাকে নিয়ে রাজনীতি করছে পুরভোটে তাদের মানুষ ঠিকই জবাব দেবেন।
অন্যদিকে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন, মানুষের এই দুর্দিনে রাজনীতি করছে বিজেপি। মানুষ এটাকে ভালো চোখে দেখবেন না। প্রধানমন্ত্রী জনতা কার্ফুর কথা ঘোষণা করেছেন। ভাইরাস সংক্রমণের এই সময় এটা মানা উচিত। এটাকে নিয়ে অযথা রাজনীতি করা ঠিক নয়। যে দলই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে নিয়ে মানুষের মধ্যে রাজনীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের ধিক্কার জানাই।
একইভাবে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনৈতিক সুবিধা নিতেই বিজেপি দলীয় পতাকা লাগিয়ে এই প্রচার করেছে। কিন্তু, মানুষ বোকা নয়। কোনও সুবিধা হবে না। মানুষ ওদের চিনে গিয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যের মানুষের সেবায় কোনও ভড়ংবাজি করেন না। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যা ব্যবস্থা নিয়েছেন তাতে বিরোধী অনেকেই মুগ্ধ।