বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সদরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য গৌতম শীল বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই সদরঘাটে আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত মার্কেট কমপ্লেক্স চাইছি। এজন্য পুরসভা একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। পুরসভা সেখানে মার্কেট করলে আমরা তাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করব। তবে অবশ্যই পুরসভাকে বাজারের বর্তমান ব্যবসায়ীদের দিকে নজর দিতে হবে। ঘর বণ্টনের ক্ষেত্রে যাতে এখনকার ব্যবসায়ীরা অগ্রাধিকার পান সেটা পুরসভাকে নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি, পুরসভা আমাদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই শহরের বুকে একটি আধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্সের দাবি করে আসছেন। আমরা শহরের সদরঘাটের পশুপতি মোড়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বিশিষ্ট একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করব। এজন্য জমি চিহ্নিত হয়েছে। ওই মার্কেটটি হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু চিহ্নিত জমিটি পুরসভার নামে না থাকায় মার্কেট কমপ্লেক্স শুরু করতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জমিটি যাতে পুরসভার অধীনে আসে সেজন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নবান্নে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, শীঘ্রই সেখান থেকে ছাড়পত্র আসবে।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দনা হালদার বলেন, সদরঘাটের ওই প্রস্তাবিত জমিটি পুরসভার মধ্যে পড়লেও জমিটি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের নামে রয়েছে। তাই আমরা সেটি ব্যবহার করতে পারছি না। পুরসভার নিজস্ব মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি আগে জমিটি হস্তান্তর করে নিতে হবে। নয়া ওই ভবনে আমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যবসায়ীদের একছাতার তলায় আনতে পারব।
পুরাতন মালদহ পুরসভার সদরঘাটের পশুপতি মোড়ে আধুনিক পুর মার্কেট করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসায়ীরা তুলে আসছেন। ওই এলাকায় প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্যবসা করছেন। এজন্য ব্যবসায়ীদের যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি বাজারে এলে ক্রেতাদেরও এদিক ওদিকে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। ওই এলাকায় আধুনিক মার্কেট হলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই সুবিধা হবে। সেখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে পুরসভা পশুপতি মোড়ে ওই জায়গায় আধুনিকমানের মার্কেট গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। যেহেতু জমিটি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের অধীনে আছে তাই সেটি প্রথমে নিজেদের নামে করতে হবে। সেজন্য পুরসভার থেকে নবান্নে সম্প্রতি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালের আগে ওই জমিটি পঞ্চায়েত এলাকায় থাকায় সেটি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের নামেই থেকে যায়। জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটলে পুরসভা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে তা শীঘ্রই শেষ করে ফেলবে।