বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর জেলা পুলিসও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে। বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা থাকেন তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। একাধিক বিধায়ক এনিয়ে কিছুটা উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে জেলা পুলিস ইতিমধ্যেই বিধায়কদের সঙ্গে এব্যাপারে সরাসরি ফোনে আলোচনা করেছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পার্থবাবু সংসদ সদস্যের পাশাপাশি জেলা যুব সভাপতির পদেও রয়েছেন। জেলাতে যুব ও মাদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও রয়েছে। এসবের জেরেই পার্থবাবুর নিরাপত্তা কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে দিনহাটা ও সিতাইতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধে। গীতালদহ সীমান্ত এলাকা, সিতাইয়ের একাংশ এখনও পুরোপুরি অপরাধমুক্ত করা যায়নি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মেটাতে স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কদের কার্যকরী ভূমিকা নিতে হয়। এসবের জেরেই সিতাইয়ের বিধায়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরিচিত কাউকে সহজে গাড়িতে না তোলার ব্যাপারেও জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের জন্য যে দেহরক্ষী রয়েছেন তাঁর ছুটির প্রয়োজন হলে এতদিন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে জানিয়ে তিনি ছুটিতে যেতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা পুলিস সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে কিছুটা সতর্ক করেছে। পাশাপাশি কোনও দেহরক্ষী ছুটিতে গেলে তাঁকে উপরমহলে রিপোর্ট করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনও বিধায়ক বা সংসদ সদস্য কোনও জায়গায় গেলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি বা আইসি’র কাছে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে আগাম খবর দেওয়ার ব্যাপারেও জানানো হয়েছে।