বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শুভেন্দুবাবু বলেন, রাজ্যের বহু ফেরিঘাটে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ রূপায়ণ করা হয়েছে। কিছু ঘাটে সেই কাজ রূপায়ণের প্রক্রিয়া চলছে। তার জন্য অর্থও দেওয়া হয়েছে। এই ঘাটগুলিতে জলসাথীদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা দায়িত্বের সঙ্গে কর্তব্যপালন করছেন। তাঁদের মাসিক ১০ হাজার টাকার বেতন বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বছরে তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি করা হবে। ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তাঁরা। অবসরের সময়ে তিন লক্ষ টাকা গ্র্যাচুইটি পাবেন কর্মীরা। বছরে দু’বার ইউনিফর্ম দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, জলসাথীদের স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হবে। কোনও প্রয়োজনে উদ্ভূত পরিস্থিতির খবর সেই গ্রুপের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম ও পুলিসকে তাঁরা জানাতে পারবেন। ফলে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ফেরিঘাটে যাত্রীদের সুরক্ষার সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না। তার জন্যই ভুটভুটি, দেশীয় নৌকা বন্ধ করে পর্যায়ক্রমে উন্নত জলযান নামানো হচ্ছে। অবৈধ ফেরিঘাটে পরিষেবা চালানো বেআইনি। তার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ ফেরিঘাট বন্ধ করে দিতে হবে। তার জন্য সাধারণ মানুষের সহযোগিতা দরকার। এদিন রূপনারায়ণে যে ঘাটের কাছে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেরি পরিষেবা চালানো হতো। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আরও পাঁচ হাজার লাইফ জ্যাকেট কেনার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দু’টি এসি সহ মোট আটটি এক বগির ট্রামের যাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত ও এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত কর্মীদের বেতন ছিল মাসিক সাড়ে ১১ হাজার টাকা। তাঁদের বেতনও জলসাথীদের মতোই দু’হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। তাঁরাও ৬০ বছর কাজ করতে পারবেন। এবং তিন লক্ষ টাকার অবসরকালীন সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি তঁাদেরও বার্ষিক ৩ শতাংশ করে বেতন বৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ইলেকট্রিক বাস বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। আগামী দিনে পরের দফার আরও দেড়শোটি পরিবেশবান্ধব বাস নামানো হবে। এ রাজ্যে ইলেকট্রিক বাসের চলাচল দেখার জন্য বিহার, অসম, ত্রিপুরা কেবল নয়, নেপাল, ভুটানও তাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এদিন মন্ত্রী জানিয়েছেন, লন্ডনের মতো নিউটাউন এলাকায় ছাদ খোলা বাস চালানো হবে। মূলত প্রমোদ ভ্রমণের জন্যই এই পরিষেবার সূচনা করা হবে। মোট চারটি বাস নামানো হবে। তার মধ্যে এ বছরেই নামবে দু’টি বাস।