বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই অভিযুক্তের বোনের বিয়ে হয়েছে ময়ূরভঞ্জ রোডে। বোনের স্বামী রেলে চাকরি করেন। বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করত দূর সম্পর্কের দুই মামাতো ভাই। সেখান থেকেই তাদের ধারণা হয়, ওই আত্মীয়ের ভালোই টাকাপয়সা রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, তারা আইটি সেক্টরে কাজ করত। বাড়ি ভাড়া নিয়ে কাছাকাছি থাকত। কিছুদিন হল তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপরই সমস্যা শুরু হয় তাদের। কাজ না থাকায় তারা বাড়ি ভাড়া মেটাতে পারছিল না। বাড়িওয়ালা টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। তখনই তারা ঠিক করে, ময়ূরভঞ্জ রোডে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে লুট করবে। যেহেতু বোনের স্বামী রেলে চাকরি করেন, তাই সেখান থেকে ভালোই টাকা মিলবে। তা দিয়ে কয়েকদিন ভালোভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যাবে। সেইমতো বাজার থেকে একটি খেলনা পিস্তল কেনে তারা। নকলের সঙ্গে আসলের ফারাক যাতে বোঝা না যায়, সেজন্য বেশ দাম দিয়েই তারা তা কেনে। এর সঙ্গেই ছুরি, দড়ি ও গামছা জোগাড় করে। এমনকী মুখোশও কেনে। যাতে আত্মীয়রা কেউ তাদের চিনতে না পারে। অভিযুক্তদের পরিকল্পনা ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর পর বাড়িতে থাকা তিনজনকে দড়ি দিয়ে বাঁধবে। তারপর আলমারির চাবি কোথায় থাকে জেনে নিয়ে সেখান থেকে নগদ, সোনার গয়না সহ অন্যান্য সামগ্রী হাতাবে।
পরিকল্পনা মতো পুজোর মধ্যেই তারা চলে যায় আত্মীয়ের বাড়িতে। মুখোশ পরেই তারা সেখানে ঢোকে। কলিং বেল বাজানো মাত্র গেট খুলে দেন গৃহকর্তা। তারা হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। গৃহকর্তার মাথায় খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে বসে দুই দুষ্কৃতী। ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাই ধরে ফেলেন দুই দুষ্কৃতীকে। টানাটানিতে খুলে যায় তাদের মুখোশ। তখনই তাদের চিনে ফেলেন আত্মীয়রা। এলাকার বাসিন্দারাই ফোন করে থানায় খবর দেন। পুলিস এসে দুই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে লুটের চেষ্টার মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের সঙ্গে আর কারো যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।