উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এমএইচ-৬০ রোমিও সি হক হেলিকপ্টারের নির্মাতা মার্কিন সংস্থা লখিড মার্টিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, যুদ্ধকালীন সময়ে রোমিও হেলিকপ্টার অত্যন্ত কার্যকরী। নির্ভুল নিশানায় শত্রুপক্ষের সাবমেরিনকে ধ্বংস করার পাশাপাশি সমুদ্রে নজরদারি চালাতেও এর জুরি মেলা ভার। এই হেলিকপ্টারটিকে ব্যবহার করা যায় ডেস্ট্রয়ার হিসেবেও। আরও জানা গিয়েছে, ক্রুজার এবং বিমানবাহী রণতরী থেকেও এমএইচ-৬০ রোমিও সি হক হেলিকপ্টার সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা। ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী এই হেলিকপ্টার থেকে ১০ ধরনের হেলফায়ার মিসাইল, ৩৮ রকমের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রবাহী রকেট, এবং ৩০টি এমকে ৫৪ টর্পেডো ছোঁড়া যাবে। ভারত মহাসাগরে চীনের বাড়তে থাকা প্রতিপত্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই চপার ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ব্রিটেনে তৈরি সি কিং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা। এমএইচ-৬০ রোমিও সি হক হেলিকপ্টার হাতে এলে সি কিং হেলিকপ্টারের বদলে এই মার্কিন হেলিকপ্টারই ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে ভারতীয় নৌবাহিনীর ১৪০টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে ১২টি সি কিং হেলিকপ্টার এবং ১০টি কামোভ ২৮ অ্যান্টি-সাবমেরিন চপার রয়েছে।
মার্কিন ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পোরেশন এজেন্সি (DSCA) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সামরিক ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এই নতুন চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলবে। শুধু সামরিক ক্ষেত্রই নয়, রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা, অর্থনীতি, এবং ব্যবসাবাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হবে।
জানা গিয়েছে, গত বছর সিঙ্গাপুরে একটি সম্মেলন চলাকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে এই হেলিকপ্টার কেনার ব্যাপারে প্রথম কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তারপর থেকে একাধিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে গতি পায় এই অস্ত্র-চুক্তি। ভারত মহাসাগরে চীনা প্রতিপত্তির বাড়বাড়ন্ত রুখতে জরুরি ভিত্তিতে রোমিও হেলিকপ্টার কেনা প্রয়োজন বলে ভারতের তরফে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠিও দেওয়া হয়। মার্কিন নৌসেনার কাছেও এমএইচ ৬০ রোমিও সি হক চপার রয়েছে। ডিএসডিএ সূত্রে খবর, ভারতের হাতে এই হেলিকপ্টার থাকলে ভারত মহাসাগর এলাকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলেও ভারতের প্রতিপত্তি অনেকটাই বাড়বে। গোটা এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তা অত্যন্ত কার্যকরী হবে।