উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
২০০৯ সালে বিজেপির সরোজ পাণ্ডে এই কেন্দ্রে জিতে সংসদে যান। সেবার তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রদীপ চৌবেকে হারিয়ে দেন। সরোজ পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৭০টি ভোট। কংগ্রেসের প্রদীপ চৌবে পান ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ২১৬টি ভোট। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৫.৯০ শতাংশ। ইতিহাস বলছে, এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে বরাবরই কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে লড়াই হয়ে থাকে। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত পরপর পাঁচবার এই কেন্দ্রের দখল নিয়েছিল বিজেপি। প্রতিবারই কংগ্রেসের প্রার্থীকে কম ব্যবধানে হারিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। পাঁচ বারের মধ্যে চারবারই বিজেপির হয়ে জেতেন তারাচাঁদ সাহু। ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তারাচাঁদকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এরপরে তারাচাঁদ ছত্তিশগড় স্বাভিমান মঞ্চ নামে একটি দল গড়েন। অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করে জোট তৈরির চেষ্টা করেছিলেন তারাচাঁদ। সেবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি।
শিল্পের দিক দিয়ে ছত্তিশগড়ের সবচেয়ে উন্নত দুর্গ। এখানে রয়েছে ভিলাই লৌহ ইস্পাত কারখানা (বিএসপি)। রেলের জন্য ব্যবহৃত প্রথম ইস্পাত কারখানা এটাই। এখনও রেলের জন্য ব্যবহৃত ইস্পাতের প্রধান সরবরাহকারী এই বিএসপি। এছাড়া মহাভারতের বর্ণনা করে গাওয়া বিখ্যাত পাণ্ডবানী গানের ধাত্রী এই দুর্গ। বলা যেতে পারে, দুর্গের সাংস্কৃতিক পরিচয় এই পাণ্ডবানী গান। রায়পুর এবং বিলাসপুর জেলার কিছুটা অংশ নিয়ে ১৯০৬ সালের ১ জানুয়ারি দুর্গ জেলা গঠন করা হয়। সে সময় রাজনন্দগাঁও এবং কবীরধাম জেলাও এর অন্তর্গত ছিল। পরে ১৯৭৩ সালে রাজনন্দগাঁওকে দুর্গ থেকে আলাদা করে একটি পৃথক জেলা করা হয়। ১৯৯৮ সালে রাজনন্দগাঁও জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কবীরধাম নামে নতুন একটি জেলা আত্মপ্রকাশ করে। দুর্গ লোকসভার অধীনে রয়েছে ন’টি লোকসভা কেন্দ্র। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দুর্গের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ।