বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্টিং অপারেশেনের ফুটেজে মির্জাকে এক কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তদন্তে নেমে এই টাকার উৎস এবং কার কাছে তা গিয়েছিল, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁরা জেনেছেন, ওই আইপিএস অফিসারের কাছে টাকা এনেছিলেন এক মিডলম্যান। কিন্তু তিনি এত টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে পেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় সিবিআইয়ের কাছে। সেই সঙ্গে কার নির্দেশে মির্জা এই টাকা সংগ্রহ করেছিলেন, তা নিয়েও খোঁজখবর চলছে। হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। টাকার উৎস নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ওই মিডলম্যান এক রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠ। তিনি বিভিন্ন জনের কাছে টাকা নিয়ে যেতেন। তাঁর কাছে যে টাকা এসেছিল, তা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। যদিও গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে মুকুলবাবুর দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শনিবারই মির্জা ও মুকুলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন অফিসাররা।
মির্জার দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতে তাঁকে দিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। আসলে যে বয়ান তিনি সিবিআইকে দিয়েছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও ফাঁক রয়েছে কি না, তা দেখাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। পাশাপাশি দেখে নেওয়া, নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও একজন রাজনৈতিক নেতার বিষয়ে তিনি মুখ খুলেছেন কি না। সেইমতো রবিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বেরন তদন্তকারী অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাঁরা সোজা এলগিন রোডে মুকুলবাবুর ফ্ল্যাটে যান। মির্জা সিবিআইকে জানিয়েছেন, তিনি ওই ফ্ল্যাটে এলে লিফটে চড়েই উপরে ওঠেন। সেইমতো এদিন লিফটে চড়েই উপরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোন ঘরে টাকাপয়সার লেনদেন হয়েছিল, তা চিহ্নিত করেন আইপিএস অফিসার মির্জা। পুরো বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআইয়ের টিম। প্রসঙ্গত, নারদ স্টিং অপারেশনে যাঁদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁরা যেখানে বসে টাকা নিয়েছিলেন, সেই সমস্ত জায়গায় গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।