উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তিনি বলেন, অনেকে মুকুল রায়কে গদ্দার বলে। আমি তাদের সঙ্গে একমত। তবে, আমি মনে করি, মুকুল রায়ের মতো ভালো লোক আর নেই। কারণ, তিনি তৃণমূল দলটাকে খাঁটি সোনায় পরিণত করেছেন। বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নোংরা, আবর্জনা, জঞ্জাল, ছাইপাশ তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি দিয়েছেন। এখন তৃণমূল খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এরপর তিনি কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রে একটা সরকার চলছে। শুধু মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। কখনও ধর্মের নামে কোপ, নোটবন্দির নামে কোপ, দাঙ্গার নামে কোপ। পাঁচ বছর ধরে মানুষকে ওরা একের পর এক কোপ মেরেছে। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সামনের ৬ তারিখ গত পাঁচ বছরের সেই জ্বালার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ মিলবে। এই সুযোগ আগামী পাঁচ বছরে মিলবে না।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি নিজেকে চা-ওয়ালা বলতেন। আর এখন চৌকিদার বলছেন। আমরা তাঁকে চা বিক্রি করতে দেখিনি, চৌকিদারি করতে দেখিনি। তবে, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলার মানুষের সঙ্গে তিনি যা প্রতারণা করেছেন তাতে মানুষ তাঁকে রাস্তায় নামিয়ে আনবেন। আমরা বাংলা থেকে তাঁকে টুপি আর লাঠি উপহার দেব।
তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি ১০ পয়সা করের বোঝা চাপায়নি। আর নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দি করে নিজের পকেট ভরেছে। জিএসটি করে দিল্লির বুকে ১২০০ কোটি টাকার পার্টি অফিস তৈরি করেছে। এদিন পদযাত্রা করে ৩৫টি বুথ সহ সাত আটটি ওয়ার্ড ঘুরেছি। মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে আমি আপ্লুত। মাসখানেক আগে আমি বলেছিলাম, দীনেশ ত্রিবেদি দু’লক্ষ ভোটে জিতবেন। এদিন পদযাত্রায় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঢল দেখে বলছি, আড়াই লক্ষ ভোটে দলীয় প্রার্থী জয়ী হবেন। এদিন শ্যামনগর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আশপাশের এলাকা ঘোরেন। পদযাত্রায় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।