বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে সঞ্জয় বর্মন বলেন, আমাদের এই পুজোকে ঘিরে গ্রামবাসীর মধ্যে অসম্ভব উৎসাহ থাকে। প্রতিবছর এই পুজোর আনন্দে শামিল হন আট থেকে আশি—সব বয়সের মানুষ। আমরা নিষ্ঠাভরে দেবীর পুজো করে থাকি। অন্য এক উদ্যোক্তা সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন,আমাদের দেবী বলাইচণ্ডী অত্যন্ত জাগ্রত। তার পুজো দেখতে অনেক মানুষ আমাদের এখানে ভিড় করেন। আমরা বছরের পর বছর একইভাবে পুজো করে আসছি।
আর সব জায়গায় যখন পুজো শেষ, তখন রায়গঞ্জ থানার ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। এখানে দেবী দুর্গাকে ‘বলাইচন্ডী’ রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা। দেবীর চার হাতেই অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানান, কত বছরের পুরানো এই পুজো, তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক তিনশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বলাইচণ্ডী রূপী দেবীর পুজো। দশমীর রাতে শুরু হওয়া এই পুজো চলবে তিনদিন। পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলাও। আর এই বলাইচণ্ডীর পুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।
পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই পুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যখন শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে, তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে এখনও শোনা যাচ্ছে আগমনীর সুর।