বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কুশমণ্ডির বাঘড়াইতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবারে ৫৪তম বর্ষে পড়েছে। এই পুজো কমিটির থিম ‘আদিবাসীর ব্রতকথা’। এখানে আদিবাসীদের সমাজ জীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দর্শনার্থীরা পুজো মণ্ডপে গ্রামের সোঁদা মাটির গন্ধ পাবেন। মাটি দিয়ে মণ্ডপের চার দেওয়ালে রয়েছে আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। মণ্ডপে ঢুকতেই দুটি মডেল আদিবাসী যুবক মাদল বাজিয়ে সংবর্ধনার ভঙ্গিতে রয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে আদিবাসী যুবক, যুবতীদের মডেল তৈরি করা হয়েছে। তারা আদিবাসীদের ঐতিহ্য করম পুজো উপলক্ষে ঝুমুর নৃত্য করছে। আদিবাসীদের সমাজ জীবন ও দেশের জন্য আদিবাসীদের আত্মবলিদান মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘আদিবাসীর ব্রতকথা’ থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারে বাঘড়াইতলা সর্বজনীন পুজো মণ্ডপে দেবী আদিবাসী মহিলার রূপে অসুর নিধন করছেন। প্রতিমার পাশে আদিবাসী দুটি মডেল মাদল বাজাচ্ছে। মাটির ঘরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বুদ্ধদেব মাহালি বলেন, প্রতি বছর আমরা থিম ভাবনায় কুশমণ্ডিতে বিশেষ কিছু করে থাকি। এবারে আমরা আদিবাসী ব্রতকথা থিম তুলে ধরেছি। বুনিয়াদপুরের শিল্পী তাপস পাল মণ্ডপসজ্জা করেছেন। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মা এখানে আদিবাসী রমণীর বেশে রয়েছেন। সঙ্গে আদিবাসীদের জীবন জীবিকা ও দেশ মাতৃকার জন্য তাদের আত্মবলিদানের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আমাদের আয়োজন দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে।
অপরদিকে কুশমণ্ডি শীতলাপাড়া শিবাজী সংঘের পুজোর এবারের থিম ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জল সংরক্ষণ’। এবারে শিবাজী সংঘের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩০ ফুট উচ্চতার জটাধারী মহাদেব তৈরি হয়েছে। মণ্ডপের সামনে তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর জটার জল দিয়ে বিশ্বকে শীতল করছেন। মণ্ডপের ভিতরে বৃক্ষরোপণ ও গাছ কাটার ফলে কীভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে তা মডেলের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও পুরো পুজো মণ্ডপ অনেকটা এলাকা ঘুরে দেখতে হবে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জল সংরক্ষণের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। শিবাজী সংঘের পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে বুবাই বসাক বলেন, আমি নিজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই থিম তৈরি করেছি। অনেকগুলি মডেলের মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জল সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আমাদের এই আয়োজন এবারে দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।