উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
হ্যারি-মেগানের সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কর দেবে কেন? বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ডেভিড ট্রাইটেল। ব্রিটেনে বসবাসকারী মার্কিন অভিবাসীদের কর সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শদাতা সংস্থা আমেরিকান ট্যাক্স রিটার্নসের কর্ণধার ডেভিড জানান, ব্রিটিশ বাবা এবং মার্কিন মায়ের সন্তান হওয়ার সুবাদে শিশুটি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকার পাবে। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের মধ্যে কোনও একজন যদি মার্কিন নাগরিক হন এবং সেদেশে কমপক্ষে পাঁচ বছর (যার মধ্যে ১৪ বছর বয়সের পর ২ বছর) বসবাস করেন, তাহলে তাঁর সন্তান আপনা থেকেই মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করবে।’ মেগানের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে বলেই জানান ডেভিড।
এরিট্রি এবং মায়ানমার ছাড়া বিশ্বে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সেদেশে বসবাস নয়, নাগরিকত্বের উপর কর আরোপ করে থাকে। তাই ভাবী সন্তানকে নিয়ে হ্যারি-মেগান পাকাপাকিভাবে উইন্ডসরের ফ্রগমোর কটেজে বসবাস করলেও আমেরিকার কর সংক্রান্ত নিয়ামক সংস্থা ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস)-এর কাছে কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বাধ্য থাকবেন তাঁরা। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য ব্যাঙ্কে বাবা-মা কত টাকা গচ্ছিত রেখেছেন, কে কত টাকার উপহার দিয়েছে শিশুটিকে, এই সবই আইআরএস-কে জানাতে হবে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পত্তির খতিয়ান দিলে তো গোপনীয়তা নষ্ট হবে! ডেভিড বলেন, ‘গোপনীয়তাকে গুলি মারুন। ওই ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য থেকে রাজদম্পতি এবং রানিরও সম্পদ সম্পর্কে অনেক বেশি কিছু জেনে ফেলবে আইআরএস।’ তাঁর সংযোজন, ‘ধরুন আদর করে রানি শিশুটিকে রাজকীয় সংগ্রহশালা থেকে মূল্যবান কোনও আঁকার বই কিংবা ভ্যান গঘ অথবা মিরোর আঁকা কোনও ছবি উপহার দিলেন। যদি সেই উপহারের দাম ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি হয়, তাহলে সেই তথ্যও আইআরএসকে জানাতে হবে এবং সেই সংক্রান্ত কর আমেরিকাকে দিতে হবে।’ করযোগ্য সম্পদের মধ্যে কী কী পড়বে? ডেভিডের উত্তর, ‘জন্মদিন বা অন্য যেকোনও অনুষ্ঠানে পাওয়া যাবতীয় উপহার, শিশুটির নামে গচ্ছিত অর্থ বা সে যদি কোনও ফান্ডের সুবিধোভোগী হয়, তাহলে তার জন্যও কর দিতে হবে রাজদম্পতিকে।’ ফাইল চিত্র