বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
টাকির ইছামতীর বিসর্জন দেখতে দেশবিদেশের হাজার হাজার পর্যটকরা জড়ো হন। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে প্রতি বছর এপার বাংলা ওপার বাংলা একাকার হয়ে যেত। প্রতিমা নিয়ে আসা দুই দেশের নৌকায় থাকা মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করতেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেন। এই মিলন, আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে ইছামতীর দুই পাড়ে দুই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হন। এবারও দশমীতে বিকেল তিনটে থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত বিসর্জন হবে। তবে এবার ওপার বাংলা এপার বাংলার মিলন ঘটছে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝ নদীতে একটি লাল সুতোর ব্যারিকেড থাকবে। ওই ব্যারিকেড পর্যন্তই ভারতের নৌকাগুলি যাবে। বাংলাদেশের বিডিআরও একটি ব্যারিকেড করেছে। ওপার বাংলার নৌকাগুলি সেই অবধি আসবে। দুই দেশের নৌকার মাঝে প্রায় ১০০ ফুটের দূরত্ব থাকবে। এ দেশের নৌকা থেকে বাংলাদেশের নৌকায় বা ওদেশের নৌকা থেকে ভারতের নৌকায় আসতে পারবেন না কেউ। অনুপ্রবেশ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
এদিকে, ইছামতীর বিসর্জন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই মাঝনদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ফ্ল্যাগ মিটিং হবে। তাতে এদেশের বিএসএফ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিস, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য প্রচুর বিএসএফ জওয়ান ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিস কর্মী মোতায়েন থাকবে। একাধিক জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিসও।
বিসর্জন দেখতে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য টাকি পুরসভা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন জায়গায় জলের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। পুরসভার তরফে নদী পাড় বরাবর ব্যারিকেড থাকবে। দর্শনার্থীরা তার বাইরে যেতে পারবেন না।
টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার মাঝনদীতে দুই দেশের ব্যারিকেড থাকবে। দশমীতে বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত বিসর্জন হবে। নিরাপত্তা কঠোর করতে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।