বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেব। যা সাহায্যের প্রয়োজন তা করা হবে।
সিউড়ির শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট ফর সাইটলেস স্কুল বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অন্ধ পরীক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোর দিশা দিয়ে চলেছে। প্রতি বছরই এই প্রতিষ্ঠানের দু’-তিনজন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। অনেকে ভালো রেজাল্টও করেছে। এবারও দু’জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। একজন পুরুলিয়া জেলার দুর্মুট গ্রামের বোমভোলা কৈবর্ত্য। বাবা সুতান কৈবর্ত্য চাষবাস করেন। দরিদ্র পরিবারের এই ছাত্রটি দু’বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। বড় হয়ে সে শিক্ষক হতে চায়। অন্যজন কাবিল আলম মোমিন। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার নগর গ্রামে। বাবা নুহুরউদ্দিন মোমিন ফেরিওয়ালা। সেও দু’বছর আগে এখান থেকে পড়াশোনা করছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য বাগ্দেবী বন্দনা করলেও তার লক্ষ্য বিখ্যাত গায়ক হওয়া। এদিন প্রতিষ্ঠানে অন্ধ ছাত্ররা ঘটা করে সরস্বতী পুজো করে। যদিও শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট ফর সাইটলেস-এর এখনও মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ানোর রেজিস্ট্রেশন নেই। তাই স্থানীয় শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করাতে হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বলকুমার সিং বলেন, এতদিন আমাদের এখান থেকে পড়াশোনা করে মাধ্যমিকে বহু ছাত্রছাত্রী পাশ করলেও আমাদের রেজিস্ট্রেশন নেই। আমরা এনিয়ে বহুবার আবেদন করেছি।
জেলা জনশিক্ষা প্রসার আধিকারিক মহম্মদ হাসিমুদ্দিন বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানোর অনুমোদন এসেছে। আমরা মাধ্যমিকের জন্য অনুমোদন চেয়েছি। আশা করছি পরের বছর থেকেই পড়ুয়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই পডুয়ারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে।
বোমভোলা কৈবর্ত বলে, আমি বড় হয়ে শিক্ষক হতে চাই। কাবিল আলম মোমিন বলে, আমি গায়ক হতে চাই। অন্যদিকে, কান্দি রাজ কলেজের অধ্যাপক সিউড়ির বাসিন্দা সুপ্রভাত চৌধুরীর একমাত্র ছেলে অনিকেত চৌধুরী জন্মান্ধ। সে কড়িধ্যা যদু রায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইন্সটিটিউশন থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। বাবার মতো সেও অধ্যাপনা করতে চায়।