বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ পার্শ্ববর্তী পারুলিয়া গ্রামের কৃষি জমির পাশে থাকা একটি আম গাছে দুই বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে মেমারি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে মৃতদেহ দু’টির ময়নাতদন্ত হয়।
মৃতদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে প্রশান্ত দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পাড়ার সম্পর্কে বিধানকে তিনি ভাইপো বলতেন। তবে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাড়ায় দু’জনকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যেত। ওইদিন বিকেলে দুই বন্ধু একসঙ্গে পাড়ার সরস্বতী ঠাকুর দেখতে বের হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, একটি পুজো মণ্ডপের সামনে তারা নাচানাচিও করে। সন্ধ্যায় পর থেকে দু’জনকে আর গ্রামে দেখা যাচ্ছিল না। যদিও সেই দিকে কেউ বিশেষ আমল দেয়নি। রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ পার্শ্ববর্তী পারুলিয়া গ্রামের একটি আমগাছে দু’জনকে ঝুলতে দেখা যায়। প্রশান্তর গেঞ্জি খুলে তার দু’দিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দুই বন্ধু ঝুলছিল।
প্রশান্তর দাদা গৌতম রায় বলেন, দু’জনেই মদ খেয়েছিল বলে শুনেছি। মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে কিছু বলতে পারব না। মন্তেশ্বর থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।