বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছন্দে ফেরেনি হাঁসখালি। এখনও থমথমে হাঁসখালির ফুলবাড়ি। সোমবার সকালে গেদে রানাঘাট শাখার ভায়না স্টেশনে রেল অবরোধে নামেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এদিন সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ১০টা ৯মিনিট পর্যন্ত অবরোধ হয়। তাতে শিয়ালদহগামী একটি লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। রেল পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
পোস্টার হাতে ফুলবাড়িতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পোস্টারে লেখা, ‘মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দোষীদের শাস্তি চাই।’ এদিন তৃণমূলের সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলবাড়িতে নিহত বিধায়কের বাড়িতে আসেন। অভিষেক যখন ফুলবাড়ি মাঠ ঘুরছিলেন, সেই সময়ও দলীয় কর্মীরা তাঁর নজরে এনেছেন ওই সব পোস্টার। অভিজিতের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর। কারণ ঘটনার দিন তাকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তার বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুরও চালিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সে এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভের পারদ আরও চড়ছে।
এদিন দুপুরে টানা ৪২ মিনিট নিহত বিধায়কের বাড়িতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যজিতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিধায়কের স্ত্রী রুপালি হালদার বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার সময় ছোট্ট সন্তানকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিষেক। সত্যজিতের সন্তানের বয়স মাত্র এক বছর তিন মাস। পরিবারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কথা বলার সময় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু ও সত্যজিতের মা অঞ্জনাদেবী এবং আত্মীয়রা।
টানা ৪২ মিনিটে কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য নিহতের পরিবার খোলসা করেনি। বিধায়কের স্ত্রী রুপালি বলেন, অভিষেকবাবু বলেছেন, সবাই গ্রেপ্তার হবে। কেউ ছাড়া পাবে না। আমাদের পাশে উনি সব সময় থাকবেন। সবরকমভাবে সহযোগিতা করবেন। আমাদের নিরাপত্তার দিকটিও দেখবেন। বিধায়কের আত্মীয় স্বপন হালদার বলেন, পরিবারের প্রতি উনি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। উনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই পরিবারে যাতে আর কোনও ক্ষতি না হয়, তা উনি দেখবেন বলেছেন। উনি এরজন্য প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করবেন। আর যাদের নাম অভিযোগপত্রে রয়েছে, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়ে গেছেন তিনি। ছেলেকে প্রতিপালিত করার দায়িত্বভারও উনি নিয়েছেন।
মৃতের স্ত্রীকে কোনও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন? এই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি সত্যজিতের পরিবারের আত্মীয়রা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তাদেবী বলেন, অভিষেক শুধু নন, জেলার নেতারাও এই পরিবারের পাশে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পারিবারিক বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে কী কথা হল? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিবারের কেউ মারা গেলে, তা অপূরণীয় ক্ষতি। এই অপূরণীয় ক্ষতিকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন দোষীদের গ্রেপ্তার করার। এবং তিনি নিজে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিবারের পাশে সম্পূর্ণভাবে দল রয়েছে। জেলা নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্ব।