বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, উপভোক্তাদের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিটি ব্লকে শ্রমিকমেলা থেকেও বিভিন্ন সরকারি অনুদান তুলে দেওয়া হচ্ছে। এদিন উপভোক্তাদের হাতে মোট ২কোটি ৯৯লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেওয়া হল। জেলাশাসক বলেন, জেলার ৭৫শতাংশ অসংগঠিত শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে বাকিদেরও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে। জেলাশাসক আরও বলেন, একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিড়ি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক সহ প্রায় ১৪থেকে ১৫লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিক রয়েছেন। সচেতনতা শিবির করে, শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই যোজনায় আনার কাজ চলছে। চলতি বছরেই তিন লক্ষের বেশি শ্রমিককে এই প্রকল্পে আনতে পেরেছি। যাচাই করে বাকিদের তালিকাভুক্ত করার কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই ১০০শতাংশ শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতাভুক্ত করা হবে। জেলাশাসক আরও বলেন, শ্রমিক পরিবারের শিক্ষা, দুর্ঘটনা, পেনশনের জন্য অনলাইনে আবেদন জমা পড়লেই উপভোক্তাদের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় উপভোক্তাদের দুর্ঘটনাজনিত কারণে এককালীন ৫০হাজার, স্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবারের হাতে ৫০হাজার ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে পরিবারের হাতে ২লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়ায় এদিন ১লক্ষ টাকার সাহায্য তুলে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে। সন্দীপবাবু বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচেছি। কিন্তু একটা হাত না থাকায় কর্মক্ষমতা হারিয়েছি। সরকারি সাহায্য পাওয়ায় নতুন কিছু করার পরিকল্পনা নিতে পারছি।