বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
আর তাই পছন্দের স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে না পেরে সমস্যায় পড়েছে অনেক ছাত্রী। মুরারইয়ের রাজগ্রামের ২৫ জন ছাত্রী এতদিন মুরারইয়ের রাজগ্রামের আম্ভুয়া জুনিয়র হাইস্কুলে পড়াশোনা করত। এবার তারা রাজগ্রাম এসআরআর গার্লস স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে চাইলেও পারছে না। কারণ, সেই স্কুলে অস্বাভাবিক ছাত্রীর চাপ।
নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ সাবনা খাতুন, রিয়া খাতুন, চাঁদনি খাতুন, পুণ্যবতী কোড়া বলে, আমরা গার্লস স্কুলে পড়তে চাই। সেই মতো এসআরআর গার্লস স্কুলে ভর্তি হতে গেলে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, তোমাদের গ্রামে গভর্নমেন্ট মডেল স্কুল রয়েছে, সেখানে ভর্তি হও। এখানে তোমাদের ভর্তি নেওয়া যাবে না। কিন্তু, মডেল স্কুলে মাত্র দু’জন শিক্ষক। পঠনপাঠন ভালো হয় না। তাছাড়া ওখানে ছাত্রদের সংখ্যাই বেশি।
গার্লস স্কুলের চাপ কেমন? রাজগ্রাম এসআরআর গার্লস স্কুলে এখন ১৯৪২জন ছাত্রী রয়েছে। এবার যা চাপ তাতে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসিনাতুল ফিরদৌস বলেন, গতবার আমাদের স্কুলে নবম শ্রেণীতে ৫১২ জন ছাত্রী ছিল। এবার হয়তো ৫৫০ থেকে ৬০০ হয়ে যাবে। যদি একটা শ্রেণীতে এতো পড়ুয়া হয়, তাহলে স্কুলটির কী অবস্থা হয় বলুন। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। একটা ক্লাসে ৬০০ জন পডুয়া থাকলে খুবই অসুবিধা হবে। ছাত্রীদের সকলকে বসার জায়গা দেওয়া যাবে না। বইপত্র ঠিক মতো পাওয়া নিয়েও সমস্যা দেখা দেবে। সেই জন্যই তো ওই ছাত্রীদের বলেছি, তোমরা মডেল স্কুলে যাও। ওই স্কুলটাও তো চালু করতে হবে। তাছাড়া স্কুলটা তো ওদেরই গ্রামে। কিন্তু, ওরা রাজি হচ্ছে না। আসলে ওরা গার্লস স্কুলেই পড়তে চায়। এখন আলোচনা করে দেখি, কী করা যায়।
কেমন অবস্থা আম্ভুয়ার সরকারি মডেল স্কুলের? জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে আম্ভুয়া গভর্নমেন্ট মডেল স্কুলটি তৈরি হয়। প্রথমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা চালু হয়। কিন্তু, পড়ুয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় পরে সেটিকে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা মিডিয়াম করা হয়। তারপরও স্কুলটির হাল ফেরেনি। বর্তমানে সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭০। শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দু’জন। ফলে অধিকাংশ ক্লাসও হয় না বলে অভিযোগ। তাই ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ভর্তি হতে চাইছে না।
মডেল স্কুলের টিচার ইনচার্জ শেখ গোলাম সাব্বিরও বলেন, সাতটি বিষয়ে কমপক্ষে সাতজন শিক্ষক দরকার। সেখানে আছেন মাত্র দু’জন। এই দু’জন শিক্ষক দিয়ে এতগুলি ক্লাস চালাতে একটু অসুবিধা তো হচ্ছেই।
এব্যাপারে রামপুরহাট মহকুমা স্কুল পরিদর্শক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, মডেল স্কুলটাকে বাঁচানোর জন্য আমরা চাই যাতে বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। পড়ুয়ার সংখ্যা না বাড়লে তো ওখানে শিক্ষক দেবে না স্কুল দপ্তর। অথচ গার্লস স্কুলে অত্যধিক চাপ সত্ত্বেও সেখানেই পড়তে চাইছে সবাই। দেখছি কী করা যায়।