বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটে বালিঘাটে ট্রাক্টর নামিয়ে দিনে-দুপুরে বালি লুট করা হচ্ছে বলে বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের মাঝিখাড়া মৌজায় বন্ধ থাকা ইজারাপ্রাপ্ত বালিঘাটে পরিদর্শনে যান পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের রেভিনিউ অফিসার রবীন্দ্রনাথ দেওয়াসিন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, ১৫টি ট্রাক্টর নামিয়ে বালি লুট করছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তাতে বাধা দিতে গেলে বালি মাফিয়ারা রবীন্দ্রনাথবাবুকে তাড়া করে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার পাশাপাশি খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমি কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছি।
এই ঘটনার পরই ওই অফিসার মঙ্গলকোটের বিএলএলআরওকে লিখিত অভিযোগ করেন। বিএলএলআরও রূপবিলাস মণ্ডল বলেন, ওই ঘাটটি ইজারা দেওয়ার পর থেকেই কিছু বালির অবৈধ কারবারি গ্রামের বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে জোর করে ঘাট বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আলোচনা করা হলেও সমস্যা মেটেনি। তারপরেও বেআইনি বালি পাচার রুখতে গিয়ে আমাদের অফিসারকে নিগ্রহ করা হয়। এ ব্যাপারে আউশগ্রাম থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।
মহকুমা ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোট ব্লকের পালিগ্রাম অঞ্চলের মাঝিখাড়া মৌজায় বালি তোলার জন্য সরকারিভাবে গোপাল সাহা নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়। অভিযোগ, ঘাট থেকে বালি তোলার কাজ শুরু হতেই পাশের আউশগ্রাম থানার ভেদিয়ার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দারা বালি তুলতে বাধা দেন। পরে তাঁদের বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বালি ঘাট বন্ধ করে দেন ওই ইজারাদার। কাটোয়া মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বীরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারিভাবে বালির তোলার কাজে বাধা দিচ্ছে। তাতে প্রচুর রাজস্ব নষ্ট হচ্ছে। আমরা অভিযানে গেলেই আমাদের অফিসারদের হুমকি দিচ্ছে। পুরো বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসনকেও জানিয়েছি।