বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, নতুন বছরের শুরুতে তোমাদের সবাইকে আমার অনেক অভিনন্দন। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। সমাজ গড়ার কারিগর। ভালোভাবে লেখাপড়া শিখে জীবনে অনেক বড় হও। এই শুভ কামনা রইল। তোমার সকল অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শুভানুধ্যায়ীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থেকো। সুস্থ থেকো। স্নেহ, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হীরাপুরের শান্তিনগর বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জয়দীপ পাত্র বলে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখে আমাদের শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে পারেন তা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক গ্রিটিংস কার্ড পেয়েছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সারাজীবন মনে থাকবে। ওই স্কুলেরই ছাত্রী দিয়া দাস, শ্রেয়া বার্নওয়াল বলে, বাড়ির সবাইকে এই শুভেচ্ছা বার্তাটি দেখাব। পরে সেটি বাঁধিয়ে রাখব। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সই করে আমাদেরকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে বড় পাওনা। সামনের বছরও এই চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকব। আরএক ছাত্রী দেবীকা দেবনাথ বলেন, শুভেচ্ছা বার্তাটি হাতে পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি আমাদের কথা মনে রেখেছেন এটা বড় বিষয়। শুভেচ্ছা বার্তা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার পড়ে ফেলেছি।
স্কুলের শিক্ষক দিব্যেন্দু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি। কিন্তু এর আগে কোনওদিনই কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে দেখিনি। এতে ছাত্রছাত্রীরা উৎসাহিত হবে। আমাদের স্কুলের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতেই শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একের পর এক প্রকল্প নিয়েছেন। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী তাঁর যুগান্তকারী প্রকল্প। পড়ুয়াদের সমস্ত রকম সুবিধা তিনি দিচ্ছেন। তারপর তাঁর এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করবে। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতা অশোক রুদ্র বলেন, রাজ্যের প্রতিটি স্কুলেই এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে বহু স্কুলে তা পৌঁছে গিয়েছে। যারা এখনও শুভেচ্ছা বার্তা পায়নি তারা সামনের সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাবে।