বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বরাবাজার থানার ভাগাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডুংরি গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী সন্তোষ মাহাত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পেশায় ব্যবসায়ী ওই তৃণমূল কর্মীর গাড়ি পরের দিন গ্রামের কাছে উদ্ধার হয়। গাড়িতে সাঁটা পোস্টারে সাত দিনের মধ্যে ৩০লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবির পাশাপাশি আগামীদিনে আরও তৃণমূল কর্মীদের এভাবেই অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বরাবাজার থানার পুলিস ও জেলা পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্তোষবাবুর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহৃত তৃণমূল কর্মীর ভাই দেবেন মাহাত বলেন, প্রায় ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দাদার কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিস এখনও কোনও খোঁজ পায়নি বলে শুনলাম। দাদার চিন্তায় বাড়ির সকালে খাওয়া দাওয়া একপ্রকার বন্ধ। কোথায়, কীভাবে খুঁজব ভেবে পাচ্ছি না। ঘটনার পর থেকে মুক্তিপণ চেয়ে কোনও ফোনও আসেনি।
সন্তোষবাবুর মা বৈশাখী মাহাত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, ছেলেটা কোথায় কীভাবে আছে কে জানে? ওর তেমন কোনও শত্রুও ছিল না। তারপরেও কারা একাজ করল বুঝতে পারছি না।
এদিন বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন সহ এলাকার ও ব্লকের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সন্তোষবাবুর বাড়িতে যান। সেখানে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরাবাজার ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সুদর্শন মাহাত, কার্যকরী সভাপতি প্রতুল মাহাত প্রমুখ। সুদর্শনবাবু বলেন, ওই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পোস্টারে আরও তৃণমূল কর্মীদের অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এতে তৃণমূল কর্মীরা ভীত নয়। টকরিয়ায় সভা করে ঘটনার প্রতিবাদ করার পাশাপাশি পুলিসের কাছেও দাবি জানানো হবে সন্তোষকে দ্রুত খুঁজে বের করার। পুলিস নিজেদের মতো করে কাজ করছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই ঘৃণ্য কাজের মোকাবিলা রাজনৈতিক ভাবেই করবে। পোস্টারের বয়ান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, ঘটনায় বিজেপির যোগ রয়েছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা অনিল মাহাত বলেন, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। আমরাও সন্তোষবাবুকে উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। গোটা ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের সাজানো।
এবিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিস সুপার আকাশ মাঘারিয়াকে ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বরাবাজার থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত তৃণমূল কর্মীর খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি চলছে।