বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, বেআইনিভাবে বালি তোলা বন্ধ করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং অ্যাপের মাধ্যমে আমরা বালি চুরি পুরোপুরি আটকাতে পারব। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেআইনিভাবে বালি তোলা বন্ধ করতে ডিসেম্বর মাসে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই এই নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, বালি খাদান, খাদানে ঢোকা বা বেরনোর রাস্তায় ক্যামেরা বসানো হবে। সেই মতো অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) এব্যাপারে সমস্ত ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে কোথায়, কোথায় ক্যামেরা বসানো যায়, সে ব্যাপারে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই কাজ করবেন রাজ্যের পিডব্লুডির(ইলেকট্রিকাল) কর্তারা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন চারটি ব্লক থেকে এব্যাপারে প্রস্তাব জমা পড়েছে। গড়বেতা-১, কেশপুর, দাসপুর-১ এর মতো কয়েকটি ব্লক থেকে কোথায় কোথায় ক্যামেরা বসানো যায়, তা প্রস্তাব আকারে জমা পড়েছে। প্রায় ৩৩টির মতো পকেটে ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্তও হয়েছে। বাকি ব্লকগুলিকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী বলেন, খাদানগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কোথায় কোথায় ক্যামেরা বসানো হবে, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এটা হয়ে গেলে বালি চুরি, অবৈধ খাদান থেকে বালি তোলা অনেকটাই আটকানো যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অন্যদিকে, ‘অ্যাপে’র মাধ্যমেও বাড়ানো হবে নজরদারি। জানা গিয়েছে, ভূমি দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বালি খাদানের মালিকদেরও অ্যাপে যুক্ত করা হবে। প্রতিদিন একটি খাদান থেকে কোন গাড়ি কত বালি নিয়ে বেরচ্ছে, তা জানাতে হবে খাদান মালিককে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘অ্যাপ’ ব্যবহার নিয়ে খাদান মালিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে খাদান মালিক বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে পারবেন খুব সহজে। এর ফলে ক্যারিং অর্ডার কেউ জাল করলে তা বোঝা যাবে। রাস্তায় বালির গাড়ি চেকিংয়ের সময় গাড়ির নম্বর প্লেট দেখেই বোঝা যাবে, কোন খাদান থেকে এই গাড়ি এসেছে, তার কতটা বালি তোলার কথা। চালান দেখানোরও আর প্রয়োজন হবে না।
ন্যাশনান ইনফর্মেটিকস সেন্টারের জেলা আধিকারিক (ডিআইও) বিবেকানন্দ মাইতি বলেন, অ্যাপের কাজ প্রায় শেষ। খাদান মালিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। আগামী মাস থেকে অ্যাপে কাজ করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।