বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশচকের বাসিন্দা ওই মহিলা অবিবাহিত। বছর তিনেক আগে তাঁর মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এক ভাই গুজরাতে কয়েক বছর ধরে সোনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও অবিবাহিত। বাকি তিন বোনের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে ওই মহিলা তাঁর বাবার সঙ্গে বাড়িতেই থাকেন। বাবা বার্ধক্যজনিত অসুখে শয্যাশায়ী। পক্ষাঘাতে একপ্রকার পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন। ঘরের একটি রুমেই বাবা ও মেয়ে বাস করেন। অন্য একটি রুম তালাবন্ধ।
অভিযোগ, কাজের সূত্রে ভাই বাইরে থাকায় এবং বাবা অসুস্থ হওয়ার সুযোগে ওই মহিলাকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে ওই মহিলা সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতা ওই মহিলার ভাই বলেন, কাজের সূত্রে বাইরে থাকি। অনেক দিন পর পর বাড়িতে আসা হয়। এবার আট মাস পর গত সপ্তাহে বাড়ি ফিরি। দিদির শরীর খারাপ হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। তাঁর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা শুনে বৃহস্পতিবার খানাকুল থানায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আরএক অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, রোজগার করে অন্য দিদিদের বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু, মেজদি আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাঁর জীবন সুরক্ষার স্বার্থেই বিয়ে দেওয়া যায়নি। কিন্তু, বাড়িতে এসে তাঁর উপর এমন নির্যাতনের ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। তাঁর দাবি, বাবা অসুস্থ থাকায় প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে আসাযাওয়া শুরু করে। সেখানে দিদিকে ভুল বুঝিয়ে তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা মহিলার ভাই থানায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শান্তিরাম জানা, হারাধন জানা, গোবিন্দ পোড়ে, প্রশান্ত জানা, মেঘনাদ কোটাল, রতিকান্ত কোটাল ও রঞ্জন কোটাল। ঘটনায় লাল্টু জানার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই হরিশচকের বাসিন্দা। তারা নির্যাতিতা ওই মহিলার প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় কয়েকজন বৃদ্ধ ও প্রৌঢ় রয়েছে। কেউ আবার ওই মহিলার পাড়া সম্পর্কিত দাদু, কাকা হয়।
শুক্রবার আরামবাগ হাসপাতালে অভযুক্তরা অবশ্য দাবি করেছে, তাদের মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। খানাকুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, আরএক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।