বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নিম্ন আদালত থেকে তা নিশ্চিত করার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল আদালতের শেষ কাজের দিন। এরপর থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত আদালত ছুটি। তাই এর মধ্যে জামিন নিশ্চিত না করলে লক্ষ্মীপুজোর পর তাঁকে আসতে হতো আদালতে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাননি প্রাক্তন নগরপাল। অত্যন্ত গোপনে বৃহস্পতিবার সাতসকালেই তিনি হাজির হন আলিপুরের নিম্ন আদালতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিআইডির এক পদস্থ কর্তা। তিনি যে আদালতে আসবেন, তা তাঁর ঘনিষ্ঠ দু’-একজন ছাড়া কেউই জানতেন না। আদালতে এসে তিনি জামিন নিশ্চিত করেন। আইনজীবী মহলের খবর, তিনি খুব শীঘ্রই কাজে যোগ দিচ্ছেন। সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পর প্রায় ২৫ দিন আড়ালেই ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁর খোঁজে একাধিক হোটেল-রিসর্টে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মাঝেই কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল প্রথমে এমপি-এমএলএ’দের বিশেষ আদালত, তারপর বারাসত জেলা জজের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তারা মামলা ফেরায় আলিপুর নিম্ন আদালতে। তারা রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আলিপুর জেলা জজও একই রায় বহাল রাখেন। এরপর রাজীব হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে।
তবে এরপরেও হাল ছাড়তে রাজি নন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। এক্ষেত্রে এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট কী রায় দিয়েছিল এবং আদালত ব্যাখ্যায় যা জানিয়েছিল, তাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শও করেছেন তাঁরা। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, রাজীব কুমার সারদা মামলায় জামিন পেয়েছেন। রোজভ্যালিকাণ্ডেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় তাঁকে দু’বার নোটিসও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। যদি তিনি না আসেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ যাতে আনা যায়, তার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ সারদায় ধাক্কা খেয়ে রোজভ্যালি মামলার সূত্র ধরেই এগতে চাইছে সিবিআই। সারদায় সিবিআই কী করছে, তার অনেকটাই বাইরে ফাঁস হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। যে কারণে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধা হয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। রাজীব বাড়তি সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই রোজভ্যালি মামলায় অত্যন্ত গোপনে কৌশল ঠিক করতে চাইছেন তাঁরা। যাতে কোনও কিছুই বাইরে বেরিয়ে না আসে। প্রসঙ্গত, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না হওয়ায় সিবিআই এ রাজ্যে এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারেনি। এই মামলা ওড়িশাতেই চলছে।