বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সর্বশেষ আপডেটের সুবাদে যিনি খাবার ডেলিভারি করতে আসছেন, তাঁর সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য জেনে নিতে পারেন ব্যবহারকারী। সৌভিক লিখেছেন, অর্ডার সংক্রান্ত তথ্যে চোখ বোলাতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। আমার ডেলিভারি এজেন্টের সম্পর্কে তথ্য জানার পর। সৌভিক জানাচ্ছেন, খাবার ডেলিভারি দিতে আসা সেই ব্যক্তির নাম মিরাজ। বাংলা ও হিন্দি, দুই ভাষাতেই স্বচ্ছন্দ্য। শুধু তাই নয়, স্নাতকোত্তরের ডিগ্রিও রয়েছে। এই কলেজ পড়ুয়ার আরও বক্তব্য, নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে দরজায় গেলাম খাবার নিতে। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। খাবারের পার্সেলটা আমার হাতে দিলেন। জীবনের সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনার মুখে পড়লাম এর ঠিক পরেই। হাত জোড় করে কাঁপা গলায় তিনি বললেন, স্যার, একটু রেটিংটা দিয়ে দেবেন।
মিরাজের সঙ্গে স্বল্প আলাপচারিতায় সৌভিক জানতে পারেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছেন। এরপর ফিন্যান্স বা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিংয়ে পিজিডিএম। এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে দেশে চাকরি পাওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌভিক। তাঁর বক্তব্য, কলেজ পড়ুয়া এক কিশোরের কাছে যখন স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি থাকা একজন মানুষ খাবারের ডেলিভারি দিতে আসেন, তখন যুব সমাজের কাছে কী বার্তা যায়? স্বাভাবিকভাবেই সৌভিকের এই পোস্ট ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে যায় এই পোস্ট ঘিরে। সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশনের (এনএসএসও) চাকরি সংক্রান্ত সমীক্ষা রিপোর্ট ফাঁস হয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি, দেশে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফাঁস হওয়া এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা বানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। তারই মধ্যে এক কলেজ পড়ুয়ার পোস্ট ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।