দক্ষিণবঙ্গ

হুটার বাজালে প্রচণ্ড বিরক্ত হতেন বুদ্ধ-স্মৃতিতে ডুব কনভয় ইনচার্জের

সৌম্যদীপ ঘোষ, সিউড়ি: ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল। টানা সাত বছর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিকিউরিটির দায়িত্ব সামলেছেন। এতগুলি বছরের নানা স্মৃতিচারণায় ছলছল করে উঠল বিকাশ সমাদ্দারের দু’চোখ। বর্তমানে সিউড়ির ডিআরডিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর(অডিট) হিসেবে কর্মরত বিকাশবাবু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে তাঁর সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের স্মৃতি উঠে এল ওই অফিসারের কথায়। তিনি বলেন, আপনি ছাড়া কোনওদিন  কাউকে তুমি বলতে শুনিনি! রাস্তায় যাওয়ার সময় হুটার বাজালে বলতেন, বন্ধ করে দাও, স্কুলের ছেলেমেয়েদের অসুবিধা হবে।
এদিন সকালে বুদ্ধবাবুর মৃত্যুর খবরে বিকাশ সমাদ্দারের মন ভারাক্রান্ত। বিকাশবাবু হুগলির মানকুণ্ডুর বাসিন্দা। ২০২১ সাল থেকে বীরভূমে কর্মরত। আগে পুলিস বিভাগে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার অফিসে ঢুকেই তিনি যে এমন একটা খবর পাবেন, তা ভাবতেই পারেননি। পুলিসের চাকরির সময় দায়িত্ব পড়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিকিউরিটির দায়ভার সামলানোর। কখনও কনভয় ইনচার্জ, কখনও পিএসওর দায়িত্ব সামলেছেন। কখনও তাঁর বাড়িতে থাকতে হতো। খুব কাছ থেকে দেখা বুদ্ধবাবুর নানা স্মৃতি উঠে এল এদিন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন অফিস ছুটি হয়ে গেলেও সারাদিন বিকাশবাবু একই চেয়ারে বসে কাটালেন। ক্ষণে ক্ষণে মোবাইলে চোখ বুলিয়ে বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রার ছবি দেখতে থাকলেন। নানা স্মৃতির প্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, এতদিন ধরে কাছে কাছে ঘুরলাম, কিন্তু কোনওদিন সাহেবকে আপনি ছাড়া তুমি বলতে শুনিনি। একই ট্যাক্সিতে চেপে সভায় গিয়েছি। হুটার বাজাতে বারণ করতেন। বলতেন, পাশে স্কুল, কলেজ থাকতে পারে। হুটার বাজলে অন্যের অসুবিধা হয়। সাত বছরে কোনওদিন আমাদের ব্যক্তিগত কাজ করতে বলেননি। যেদিন পদত্যাগ করলেন, সেদিনও একইরকম ছিলেন। হাজার সমস্যা হলেও রুটিনের কোনওদিন হেরফের হতো না। এতটা পাংচুয়াল ছিলেন যে যতদূরই মিটিং-এ যান না কেন, ঠিক রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ি ফিরে আসতেন। ক্রিকেট, ফুটবলের বড় ভক্ত ছিলেন। গাড়িতে যেতে যেতে এফএমে খেলার ধারাভাষ্য শুনতেন। নিজে কাউকে ফোন করতেন না। বলতেন, ওঁকে একটু ধরুন তো। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অনেককেই হাত ধরে মঞ্চ থেকে নামায় সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু উনি কখনও কারও হাত ধরে নামতেন না। কে স্যালুট করল বা না করল, সেদিকে তাকিয়েও দেখতেন না। সাহেবের নানা কথা আজ বড্ড বেশি মনে পড়ছে। শুনলাম শুক্রবার শেষ বিদায় জানানো হবে। কিন্তু অফিস খোলা থাকায় আমি যেতে পারব না। একবার শেষবারের জন্য দেখতে পেলে মনটা শান্ত হতো। 
মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করার পরের জমানার কথাও বলছিলেন ওই অফিসার। বিকাশবাবু বলেন, ২০১৬ সালে ভোট দিতে যাওয়ার সময় আমি ছিলাম। সেটাই আমার ওঁর সঙ্গে থাকা শেষ বছর। দেখতাম, পরিবারকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর চলে যাওয়া সত্যিই বড় বেদনার। আমার মতো সাধারণ একজন সরকারি কর্মীর কাছেও বড়ই দুঃখের। তাঁর স্মৃতি সকলের মনে সারাবছর থেকে যাবে।  সিউড়িতে নিজের অফিসে বসে বিষাদগ্রস্ত প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিকাশ সমাদ্দার। ছবি: সুমন মুখোপাধ্যায়।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা