দক্ষিণবঙ্গ

জেসিবি এনে দোকান ভেঙে জেলার অফিস চত্বরগুলি দখলমুক্ত করা হল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: দখলমুক্ত করা হল নদীয়া জেলার অফিস চত্বর। শনিবার সাতসকালে জেসিবি দিয়ে জেলাশাসক ও এসপি অফিস সংলগ্ন ছোট বড় অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হয়। কাঁচা টিনের দোকান থেকে শুরু টাকা দোকান সবকিছুই ভেঙে ফেলা হয়। সকালের দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের মালিকরা শুরুর দিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি। অনেক দোকানের মালিক আবার যখন এসে পৌঁছন, ততক্ষণে দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা নিয়ে প্রশাসনের উপর সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনওরকম আগাম না জানিয়ে প্রশাসন তাঁদের দোকান ভেঙে দিয়েছে। এমনকী দোকানের জিনিসপত্র বের করে আনার সময় পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এক রাতের মধ্যেই দোকান হারিয়ে দিশাহারা বহু পরিবার। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের দাবি একাধিকবার মাইকিং করে সকলকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।‌ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কৃষ্ণনগর শহরের চার জায়গায় এই দখল মুক্তির কাজ করা হয়।‌ যার মধ্যে জেলা পরিষদ, জেলাশাসক, এসপি অফিস ও পুলিস লাইন সংলগ্ন এলাকা। 
কৃষ্ণনগর সদরের মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, আমরা জোন ভাগ করে এই দখলমুক্তির অভিযান চালাব। শনিবার প্রাথমিকভাবে সেই কাজটি শুরু হয়েছে। তাই আপাতত শুধুমাত্র সরকারি অফিস সংলগ্ন এলাকাগুলি দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা একাধিকবার মাইকিং করে সকলকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। ৯৫ শতাংশ দোকানে কোনও সামগ্রী ছিল না। আমরা এরপরেও‌ যখন অভিযান চালাব, তখনও মাইকিং করা হবে। 
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যজুড়েই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন ভোর থেকেই দোকানপাট ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য জেলাশাসক অফিস, জেলা পরিষদ, এসপি অফিসের পাশে ছোট বড় অগণিত দোকান গজিয়ে উঠেছে বছরের পর বছর ধরে। কোথাও রেস্তরাঁ, মিষ্টির দোকান, আবার কোথাও জেরক্সের দোকান তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি ছোটবড় চায়ের দোকান তো আছেই। অফিস চত্বরে সরকারি জায়গায় এই ধরনের দোকান ভরে গিয়েছিল। শনিবার বেলার দিকে দেখা যায় সেই এলাকায় দোকানের কোনও চিহ্ন নেই। 
পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, আমরা শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কারও ক্ষতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকটাও আমরা দেখছি। 
দোকানের মালিক জয়ন্ত সিংহ বলেন, আমার এখানে হোটেল ছিল। কিন্তু দোকানটা ভেঙে দিল। এখন আমাদের কোনও ব্যবস্থা না করে দিলে আমরা কোথায় যাব! আর দোকানের মালিক রমেশ দাস বলেন, আমার এখানে জুতো সেলাই করার দোকান ছিল। আমার তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। 
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কবে কৃষ্ণনগর শহরের হাইস্ট্রিট চত্বর দখলমুক্ত করা হবে। কারণ শনিবার যে সমস্ত জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গা ব্যস্ততম হলেও অপেক্ষাকৃত কম ঘিঞ্জি। কিন্তু হাইস্ট্রিট চত্বরের ফুটপাত বলে আর কিছু নেই বলেই শহরবাসীর অভিযোগ। পুরোটাই স্থানীয় দোকানের দখলে চলে গিয়েছে। এমনকী রাস্তার সিংহভাগ জায়গায় জামাকাপড়ের দোকান বসছে। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। এবার হাইস্ট্রিট চত্বর দখলমুক্ত করার অভিযান কবে হবে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। • নিজস্ব চিত্র 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
28th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা