নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা। জেসন কামিংসকে কোলে তুলে নিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। আমি থেকে আমরা। টিম হাবাসের সাফল্যের রসায়ন। ধারাবাহিকতায় সেরা দিমিত্রি পেত্রাতোস। ঘামে লেপ্টে জার্সি। হাসির কাছে হাজার ওয়াটের আলোও ম্লান। নিঃসন্দেহে তিনিই চলতি মরশুমে মুশকিল আসান। পালতোলা নৌকোর অন্যতম কাণ্ডারি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জালে বল জড়ান দিমি। সেই শুরু। বাকিটা ইতিহাস। কখনও আত্মজীবনী লিখলে মোহন বাগান পর্ব সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। ম্যাচের পর উদ্দাম সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন সতীর্থদের সঙ্গে। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে তাঁর মন্তব্য, ‘অসাধারণ অনুভূতি। কেরিয়ারের অন্যতম সেরা জয়। মুম্বইকে হারিয়ে খেতাব জেতা মোটেও সহজ নয়। সমর্থকদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত।’ ততক্ষণে ‘দিমি, দিমি’ স্লোগানে মুখরিত ‘মোহন ভারতী’।
আন্তোনিও হাবাস দায়িত্ব নিয়ে সামান্য ফাইন টিউনিং করেন। স্ট্রাইকার দিমিত্রিকে একটু উইথড্রন পজিশনে খেলানোর জন্য তাঁর অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য। লক্ষভেদে চোস্ত, গোল করাতেও সিদ্ধহস্ত। সবুজ-মেরুনের ইতিহাসে সেরা বিদেশির তালিকায় উপরের দিকে থাকবেন তিনি। অজি ফুটবলার গোলের গন্ধ পান।