কলকাতা: বিরাট শাস্তি পেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পোগবা। নিষিদ্ধ ডোপ করার অভিযোগে চার বছরের জন্য নির্বাসিত মাঝমাঠের এই মহাতারকা।  এই নিষেধাজ্ঞা ক্লাব ও জাতীয় দল সহ সব ধরনের ফুটবলেই কার্যকর থাকবে। যদিও রায়ের বিরুদ্ধে ক্রীড়া আদালতে আপিল করতেই পারেন বছর তিরিশের এই তারকা ফুটবলার। গত সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকভাবে নির্বাসিত হয়েছিলেন পোগবা। তবে সকলেই তাঁর দ্বিতীয় রিপোর্টের অপেক্ষা করছিলেন। এবার সেই রিপোর্টও সকলের সামনে এসেছে। তাতেও নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ফলে  বৃহস্পতিবার নির্বাসিত করা হয় পল পোগবাকে।
ইতালির জাতীয় ডোপ-বিরোধী সংস্থা নাডো ইতালিয়া গত সেপ্টেম্বরে পোগবাকে সাময়িক নির্বাসিত করেছিল। গত ২০ আগস্ট সেরি আ-তে উদিনেজের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল জুভেন্তাস। যদিও পোগবা রিজার্ভ বেঞ্চেই ছিলেন। এই ম্য়াচের পরেই এমবাপেদের জাতীয় দলের এই সতীর্থর বি নমুনা পরীক্ষা হয়। গত অক্টোবরে সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জানা গিয়েছে যে, পোগবার শরীরে উচ্চমাত্রার টেস্টোস্টেরোনের (যা সেবন একেবারে নিষিদ্ধ) উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়।  নিষেধাজ্ঞার খবরে ভেঙে পড়েছেন তিনি। স্যোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি জানান, আমি আজই ট্রাইবুনাল নাজিওনাল অ্যান্টিডোপিংয়ের সিদ্ধান্তের ব্য়াপারে অবগত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই রায় ভুল।আমি দুঃখিত, হতবাক। আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। আমি পেশাদার কেরিয়ারে যা কিছু অর্জন করেছি, তাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমি যখন এই আইনি সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হব তখন পুরো ঘটনাটিই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি কখনই সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে, এমন কোনও সাপ্লিমেন্ট নিইনি যা ডোপিংয়ের নিয়ম বিরোধী। একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমি কখনই নিষিদ্ধ কিছু ব্যবহার করে আমার পারফরম্যান্স বাড়ানোর মতো কাজ করব না। আমি আজ পর্যন্ত যে যে দলের হয়ে খেলেছি, সেই দলের সতীর্থই নয়, প্রতিপক্ষের ক্রীড়াবিদ ও সমর্থকদের সঙ্গে কখনও প্রতারণা করিনি। তাদের অসম্মান করিনি। আজ আমার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমি কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অফ স্পোর্টে এই নিয়ে আবেদন করব।' এখন দেখার পোগবার ভবিষ্য়ত কোন দিকে যায়।