উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ঐশ্বর্য এবার ‘মিষ্টু’। কালারস বাংলার চলতি ধারাবাহিক ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর ফিমেল প্রোটাগনিষ্ট। প্রায় আড়াই মাস পর সিরিয়ালের সংসারে ফিরে এসে ঐশ্বর্য এমন একটি পরিবারের ধারে পাশে ঘোরা ফেরা করতে শুরু করেছেন, যে পরিবারের পুরুষরা মহিলা সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে চায়। অপরপক্ষে, মিষ্টুর পরিবারও পুরুষ প্রাধান্যের পরিপন্থী। নারীই সব। তাদের সাফল্য-ব্যর্থতার বারমাস্যায় পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। মাতৃতন্ত্রে বড় হওয়া মেয়ে মিষ্টু খাবার ‘হোম ডেলিভারি’ করে।
এহেন দুই বিপরীতমুখী পরিবারের প্রেক্ষাপটে অবধারিতভাবে প্রেমের অনুপ্রবেশ এবং সেটা ঘটিয়ে ফেলে দুই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম মিষ্টু আর কিংশুক। নেহাতই গোবেচারা, শান্তশিষ্ট, নিরীহ ‘কিংশুক’ ওরফে মৈনাক এই প্রথম পুরুষ প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে সুযোগ পেলেন। ছটফটে ঐশ্বর্যর পাশে খানিক জড়োসড় মৈনাক নিচুস্বরে জানালেন, এর আগে তিনি মডেলিং করতেন। ফলে তাঁর ‘স্টোরি’ ততটা লম্বা নয়, যতটা সিরিয়ালে অভিনয় করবেন বলেই অভিনয় জগতে আসা ঐশ্বর্যর।
বড়বাজারের যৌথ পরিবার ছেড়ে সবে ঐশ্বর্যরা বেলেঘাটায় এসেছেন, জন্মভিটেতে প্রোমোটিং হচ্ছে বলে। সেইসূত্রে একান্নবর্তী উঠোনে এক্কাদোক্কা খেলা মেয়ে চান তাঁর কাঙ্খিত শ্বশুরবাড়িটিও ‘যৌথ পরিবার হোক’।
‘শুভদৃষ্টি’ আর ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ দুটিতেই ঘর-সংসারের হাতছানি। রিল লাইফের বধূ বেশই কি রিয়েল লাইফে ‘বিয়ে বিয়ে’ উত্তেজনার উন্মেষ ঘটাচ্ছে? ‘মোটেই না, আমি মোটেই বিয়ে পাগল হয়ে যাইনি। এখনও প্রচুর সময় আছে’ নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিসট্যান্স-এ বাংলা নিয়ে পড়া মেয়ে বিষয়টিতে ধামা চাপা দিতে চাইলেও, রহস্য জিইয়ে রাখলেন, ‘তবে বিয়ের ব্যাপার কেউ কি বলতে পারে? টুক করে বিয়েটা সেরেই ফেলতে পারি!’
বেলগাছিয়া রাজবাড়ির পুকুর পাড়েই ছাদনাতলার সেট। সেটিকে কেন্দ্র করে জড়ো হয়েছে মৈনাক থুড়ি কিংশুক সহ বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। সনাতন (রজত গঙ্গোপাধ্যায়), মলয় (শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়), প্রলয় (কৌশিক চক্রবর্তী), নিলয়রা (শুভ্রজিৎ দত্ত)। সেখানে তখন মিষ্টুর (ঐশ্বর্য) অবাধ যাতায়াত। গল্পগুজব। খুনসুটি। হই হই। এখানে পাত্রপক্ষ-কন্যাপক্ষ নেই। প্রতিপক্ষও কেউ নয়। সেই সংসারের একটাই স্লোগান ‘সিরিয়াল জিন্দাবাদ’।
ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়