পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এহেন বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরোর ফাঁক গলে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র আদি একটি মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে প্রায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে যায়। কেলোর কীর্তি যখন কেলেঙ্কারির পর্যায়ে, তখন আদির জীবনে আগমন ঘটে আর এক নারীর। সে আদিকে অনন্ত দুঃখের সখাদ সলিল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেঁধিয়ে যায় হরি ঘোষের হস্টেলে। কে সেই রহস্যময়ী?
হরি ঘোষ তাঁর ভদ্রাসন থেকে গরু হটিয়ে ছিলেন বটে, কিন্তু গোয়ালের চরিত্র বদলাতে পারেননি। একে আবাসিকদের নিয়ে আক্কেল গুড়ুম হওয়ার জোগাড়, তার উপর এক রহস্যময়ীর উপস্থিতি। হরি ঘোষ লক্ষ্য করেন দিনকে দিন তাঁর বোর্ডারদের আচার আচরণ কেমন যেন অস্বাভাবিক ঠেকছে। মানে কি! তবে কি রসাতলে যাবে শ্রী চৈতন্য ছাত্রাবাসের ঐতিহ্য ও সুনাম? ঘুম ছুটে যায় হরি ঘোষের।
এমনই এক প্যান্ডেমোনিয়াম গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হরি ঘোষের গোয়াল’। ছবির সৃজনশীল পরিচালক পীযূষ সাহা ফোনে বললেন, ‘ছবিতে রহস্য চান আছে। রোমাঞ্চ চান আছে। কমেডি চান, তাও ভরপুর মজুত। আছে আগাগোড়া বাঙালিয়ানাও।’ আসলে কমেডির মোড়কে একটি নির্মম সত্যকে তুলে ধরতে চান টালিগঞ্জের পোড়খাওয়া প্রযোজক-পরিচালক পীযূষবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেক আশা নিয়ে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে গ্রাম-গঞ্জ থেকে ছেলেমেয়েদের শহরে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠান মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করা বাবামায়েরা। অথচ বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই বেমালুম ভুলে যায় তাঁদের সে স্বার্থত্যাগের কথা। শহুরে জলহাওয়ার স্পর্শ পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট ছেলেমেয়েরা খুঁজতে শুরু করে শর্টকাটে সাফল্যের পথ। কখনও নারীর মোহে, কখনও আবার নেশার মায়ায় হারিয়ে যায় কচিকচি সম্ভবনাময় মুখগুলো।’ দীর্ঘদিন টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় আনাগোনার সুবাদে এমন পথভ্রষ্টদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন পীযূষবাবু। হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে দেওয়ার পাসওয়ার্ড। তাই এমন কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরির পরিকল্পনা তাঁর। আঠারো-উনিশ বছরের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে এই ছবির বেশিরভাগ চরিত্র। ফলে নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও সুযোগ দেওয়াটাও আরও একটা উদ্দেশ্য অতীতে বহু স্টার উপহার দেওয়া প্রযোজকের। ‘হরি ঘোষ’কে তিনি খুঁজে নিয়ে এসেছেন মঞ্চ থেকে। থিয়েটার কর্মী মনোজিৎ মুখার্জি হরি ঘোষ সাজতে গিয়ে একমাথা চুল বিসর্জন দিয়েছেন অবলীলায়। ‘আদি’ চরিত্রে পার্থ দত্ত নতুন মুখ। নবাগতা সৃজাও। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শুভব্রত চ্যাটার্জি। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অন্বয় মুখার্জি। সঙ্গীতে ইন্দ্র। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ২২ নভেম্বর।