শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
সুতরাং প্রথমেই দেখতে হবে চুল পাকতে শুরু করেছে কেন! সেই বুঝে ওষুধ খেতে হবে। চুল পাকতে শুরু করার প্রাথমিক অবস্থা থেকেই হোমিওপ্যাথির সাহায্য নিলে চুল সাদা হওয়ার অগ্রগতি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব! বংশগতির কারণে চুল পাকলে সেই বুঝে কিছু ওষুধ খেতে হবে। আবার কিছু রোগ যেমন থাইরয়েডের গণ্ডগোল হলে, শ্বেতীর মতো অটোইমিউন ডিজিজ হলে, মানসিক চাপে ভুগলে ও ধূমপানে আসক্তি থাকলে আগে রোগ বা মূল কারণটি সারানোর ওষুধ দিতে হবে। তাহলেই চুল সাদা হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আবার ভিটামিন বি৩, বি৬, বি৭, বি১২, ই, এ, সি এর মতো ভিটামিন, জিঙ্ক-সেলেনিয়ামের মতো খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাবেও দ্রুত পাকতে পারে চুল। সেক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে শরীরে যাতে পুষ্টি উপাদানের জোগান বজায় থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে কলপে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামে রাসায়নিক। পারঅক্সাইড চুলের মেলানিন ধ্বংস করে। ফলে দ্রুত চুল সাদা হতে থাকে। অতএব, চুল কেন পাকছে তার প্রধান কারণ চিহ্ণিত করা আগে দরকার। সেই বুঝে দেওয়া যায় ওষুধ। হোমিওপ্যাথিতে লাইকোপোডিয়াম, সালফার, সোরাইনাম, ক্যালকেরিয়া কার্ব, সেলিনিয়াম, ফসফরাসের মতো ওষুধগুলি চুল পাকা রোধে খুব ভালো কাজ করে। তবে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোন ওষুধ ভালো কাজ করবে তা একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকই নির্ণয় করতে পারেন। অবশ্য আর্নিকা মাদার টিংচার, জাবোরান্ডি মাদার টিংচার, আমলকী মাদার টিংচার নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার চুলে ব্যবহার করা যায়। তবে সমস্যার প্রকৃত সমাধান চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।