শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মশাগাঁ থেকে পাঁচজন ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তারমধ্যে প্রদীপ ও রূপেশের মৃত্যু হলেও গৌরাঙ্গ ভুঁইয়া, দেবদুলাল ভুঁইয়া ও দীপক গায়েন কোনওরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরা সকলেই কেন্দেমারি-জালপাইয়ের নিতাই মাঝির ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।
এদিন প্রদীপের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী আলপনাদেবী কেঁদেই চলেছেন। প্রদীপের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলে সুমনকে নিয়ে থাকতেন তিনি। নিজের রোজগারের টাকায় ছোট ঝুপড়ি বাড়ির পাশেই নতুন পাকাবাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন প্রদীপ। কাঁদতে কাঁদতে আলপনাদেবী বলেন, আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচব। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।
রূপেশের বাড়িতেও একই ছবি। ছেলের শোকে রীতিমতো পাথর হয়ে গিয়েছেন মা শিবানীদেবী। মাঝেমধ্যে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। টালির চালার বাড়ির সামনে পাড়া-প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন। এবছরই প্রথম ট্রলারে মাছ ধরার কাজে গিয়েছিলেন রূপেশ। তাঁর দাদু গণেশ গায়েন বলেন, এবছরই নাতির বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অখিলেশ পণ্ডা বলেন, মৃতদের পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানানোর মতো ভাষা নেই। আমরা পরিবারের পাশে আছি।