শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
হলদিয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গাচকের খঞ্জনচক এলাকায় আরমান ভোলার বাড়ি। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের এক সিপিএম নেতার ছত্রছায়ায় আরমানের মস্তানিতে হাতেখড়ি। হাওয়া ঘুরছে বুঝে ২০০৯ সালে সে শিবির বদল করে কাঁথির প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হয়। গোড়ার দিকে ঝিকুরখালিতে একটি কারখানার বাতিল লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম বিক্রি করত। কাঁথির প্রভাবশালী নেতার ছত্রচ্ছায়ায় আসার পরই তার দাপট বাড়তে থাকে। একের পর এক কারখানায় দাদাগিরি শুরু করে। পাশাপাশি বন্ধ কারখানার যন্ত্রাংশ বিক্রি করে ফুলেফেঁপে ওঠে। এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য ২৫-৩০ বছর বয়সি যুবকদের নিয়ে একটা ‘অ্যাকশন স্কোয়াড’ সর্বদা ঘিরে রাখত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে খুন করার ঘটনায় শেখ সাদ্দাম ও আরও কয়েকজন ধরা পড়ে। সেই সাদ্দাম এই আরমান ভোলার ডান হাত ছিল।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে এমন কথাও শোনা যায়, আরমান ভোলাকে শিল্পাঞ্চলে অবাধ দাদাগিরি করার জন্যই তৃণমূল নেতা মিলন মণ্ডলকে ফাঁসানো হয়েছিল। মিলনবাবু সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেনও। বিধানসভা ভোটের সময় আরমান ভোলাকে বিজেপি-র হয়ে প্রচারেও দেখা যায়। বহু এলাকায় দাপিয়ে ভোট করায় বলেও অভিযোগ ওঠে। ২ মে-র পর থেকে আরমান ভোলা গা ঢাকা দেয়। তারপর থেকেই তাকে হলদিয়ায় প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রবিবার রাতে অস্ত্র সহ দুই শাগরেদের সঙ্গে ধরা পড়ে আরমান। তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাত রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে।
পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, আরমান ভোলা সহ তিনজনকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোথা থেকে তারা অস্ত্র এনেছে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এনিয়ে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ফাইল চিত্র