শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও একই বক্তব্য—বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তীব্র জনরোষের মুখেও বিজেপি নেতারা অবশ্য নির্বিকার। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী এদিনও বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গে নিরাপত্তার অভাব চরম। ঢালাও অনুপ্রবেশ হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক খামতি। তাই আমরা চাই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। খুব শীঘ্রই এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করব। বাদল অধিবেশনের আগে তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাব।’
রবিবার জলপাইগুড়িতে এক বৈঠকে সেই প্রস্তাব তোলা হলেও, বিষয়টি নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই লড়ছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে প্রচারে আসা শীর্ষ নেতৃত্বকেও সেকথা জানানো হয়েছে। এই ‘চক্রান্ত’ সামনে আসামাত্রই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘বাংলার সমর্থন ছাড়া ওরা কিছুই করতে পারবে না। বিজেপি যদি মনে করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বিক্রি করে দেব, পারবে না। এতে নিশ্চয়ই ওদের কেন্দ্রের নেতাদের ইন্ধন রয়েছে। ওদের বলব এসব করবার চেষ্টা করবেন না।’
বাংলা ভাঙার এই ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ আনন্দগোপাল ঘোষ। তিনি বলেন, এখানে এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরও হচ্ছে। নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশ সহ অন্যান্য যে সমস্যাগুলোকে সামনে রেখে যারা এ ধরনের পরিকল্পনা নিচ্ছে, তা সঠিক নয়। ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মানে ভূষিত অধ্যাপক ডঃ রাজা রাউত বলেন, ‘স্বাধীনতার আগের মুহূর্তে অবিভক্ত বাংলায় বিভিন্ন পুরসভার কাছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাষ্ট্রের একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৎকালীন হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। সে সময় জলপাইগুড়ি পুরসভা আলাদা রেজলিউশন করে তা খারিজ করে দেয়। আজ বিজেপির দৈন্যদশার জন্যই এ ধরনের রাজনীতির চেষ্টা চলছে।’
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি আসলে বাংলাকে অশান্ত করতে চায়। ভোটের আগে থেকেই সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালেই মানুষ ওদের স্বেচ্ছাচারিতার জবাব দেবে। কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, অনেকদিন ধরেই বিজেপি এই খেলার চেষ্টা করছে। কখনও গোর্খাল্যান্ড, কখনও কামতাপুরী রাজ্য। এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আসলে ওদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। কেবল মানুষকে খেপানোর চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ তা হতে দেবেন না। -নিজস্ব চিত্র