শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, এই অপারেশন করানোর জন্য আড়াই লক্ষ টাকা খরচ রয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকায় ওই পরিবারকে কোনও টাকা দিতে হয়নি। এমনকী ওষুধও বিনামূল্যে পেয়েছে।
সুদীপের বাবা মুকুন্দ মঠ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল বলেই আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেলাম। টাকা দিয়ে অপারেশন করার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না। রাজ্য সরকারের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। আমাদের মতো বহু পরিবারের কাছে ভরসা এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
জানা গিয়েছে, সুদীপ মানসিকভাবেও অসুস্থ। চিকিৎসকদের অনুমান, সেই কারণেই সে পায়ুদ্বার দিয়ে পেন ঢোকার কথা জানাতে পারেনি। ফলে অনেক দেরি হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। নানা পরীক্ষার পর পেনের হদিশ মেলে। সুদীপের মা শেফালি মঠ বলেন, পায়খানার দ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতো। মাঝে মধ্যেই তার অসহ্য পেটের যন্ত্রণা করত। খাওয়া দাওয়াও সেভাবে করতে পারত না। ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। ওর সামান্য মানসিক সমস্যাও ছিল। তাই সঠিকভাবে কিছু বলতেও পারেনি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তবুও ধার দেনা করে আমরা ওকে নিয়ে বহু জায়গায় ঘুরেছি। সবরকম পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসায় সেরকম সাড়া পাইনি।
সুদীপের বাবা বলেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ভর্তি ছিল। ভুবনেশ্বরে একমাস ছিল। সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আবার নিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু আত্মশাসনের ফলে গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা যেতে পারিনি। সব জায়গায় গিয়েছি। বারবার বিভিন্ন পরীক্ষা হয়েছে। সবাই বলেছে কিছু একটা আটকে আছে। পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে দেখিয়েছি। তিনিই সার্জেন দেখানোর পরামর্শ দেন। আমি মেলায় খেলনা বিক্রি করে সংসার চালাই। এতদিনে অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছে। যেখানেই খোঁজ নিয়েছি, অপারেশন করতে দু থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অত টাকার ব্যবস্থা করতে পারব না বলে এগতে পারিনি। শেষে এক আত্মীয় এই হাসপাতালের খোঁজ দেন। এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হবে বলে জানতে পারি। অপারেশনের পর ছেলে অনেকটাই সুস্থ রয়েছে।