শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
২০১১ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনকে ভর করেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। কৃষকদের থেকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়, সে ব্যাপারে পথ দেখায় বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর কৃষকদের পাশে থেকেছেন। কৃষকরা যখনই সমস্যায় পড়েছেন, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর জোরালো হয়েছে। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনকে ‘কৃষক বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে দিল্লির বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তিনি। আগেই তিনি উল্লেখ করেছেন, গায়ের জোরে আইন বানিয়েছে কেন্দ্র। আর তার ফলে ভুগতে হচ্ছে কৃষক সমাজ থেকে গোটা দেশকে। ঘটনাচক্রে সিঙ্গুর বিল পাসের ঐতিহাসিক দিনেও মমতার বক্তব্য উঠে এল দেশে কৃষকদের সেই দূরাবস্থার কথা। কেন্দ্রের উদাসীনতার কারণে দেশজুড়ে কৃষকরা যেভাবে কষ্ট ভোগ করছেন, তাতে মমতা ব্যথিত। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড যে কৃষকরা তাঁদের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি লড়াই করে যাবেন। মূল লক্ষ্য থাকবে কৃষকদের অধিকার রক্ষা করা।
কেন্দ্রের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ উঠেছে। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা মোটেও ভালো নেই, সে ছবিও সামনে এসেছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান সহ দেশের নানা প্রান্তে কৃষকরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। কৃষক আন্দোলনের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বরাবর কৃষক ঐক্যে জোর দিয়েছেন। এদিনের ট্যুইটেও সেই বার্তা প্রকাশ পেয়েছে।
এদিকে ১০ বছর আগে ১৪ জুন বিধানসভা সাক্ষী ছিল ঐতিহাসিক ঘটনার। পাস হয় সিঙ্গুর বিল। যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই মমতা টুইটারে লিখেছেন, আজ থেকে দশ বছর আগে দীর্ঘ ও কঠিন লড়াইয়ের পরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিঙ্গুর ভূমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিল ২০১১ পাস হয়। আমরা একসাথে জোটবদ্ধভাবে কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছি এবং তাঁদের অভিযোগগুলি সমাধান করেছি। তাঁদের জীবনে সঠিক পরিবর্তন এনেছি। বিল পাসকে স্বাগত জানিয়ে সিঙ্গুরের কৃষকরা সেবার গিয়েছিলেন বিধানসভা ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন।