শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনের কাছে বসে
মদ্যপান করছিল সাত যুবক। প্রায় সকলেই বুঁদ হয়েছিল নেশায়। তাদের মধ্যে এক যুবক ফিরোজ মোল্লা তার একনলা বন্দুকটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। আরেক বন্ধুকে সে শূন্যে গুলি চালিয়ে সেটি
পরীক্ষা করতে বলে। এরপর সেই বন্ধু বন্দুকটি
হাতে নিয়ে কেরামতি দেখাতে যায়। আর তখনই ছিটকে বের হয় গুলি। বন্দুকের নলের সামনেই
ছিল ফিরোজ এবং মাজেদ শেখ। দু’জনেরই গায়ে গুলি লাগে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফিরোজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, মাজেদ শেখকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সে আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, গুলি চলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। কিন্তু ততক্ষণে বাকিরা পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে রাতভর চলে তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বন্দুক নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়েছিল এক যুবক। সেই সময় নল লাগাতে ভুল করে সে। শূন্যে তাক করে গুলি চালানোর জন্য তৈরি হতেই বন্দুকের নল আলগা হয়ে হেলে যায় ফিরোজ ও মাজেদের দিকে। কিন্তু তারা এতটাই অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিল যে, সেদিকে নজর ছিল না। ওই অবস্থাতেই হাত পড়ে যায় ট্রিগারে। ছিটকে বের হয় গুলি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে ফিরোজ। পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, চার রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে। তাদের কাছে কীভাবে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, যে মারা গিয়েছে, তার কাপড়ের দোকান ছিল। বাকিরা এদিক-ওদিক কাজ করে। ধৃতদের নাম ফজলুর রহমান মোল্লা, সাদ্দাম শেখ, মিন্টু লস্কর এবং রাকেশ মোল্লা।