শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ফতোয়া দেওয়াই নয়, গত কয়েক দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব দুই নেতাকে শো-কজও করেছে। তবে এসব করেও যে নেতৃত্ব দলের রাশ হাতে রাখতে পারছে না, তারও ভুরিভুরি ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে দল ওই ফতোয়া দিয়েছিল। সেই বৈঠকে জেলা সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যনেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এর পরপরই ৯ জুন দলের এক প্রাক্তন মিডিয়া ইনচার্জ ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন নেতৃত্বের। ফলে, বিজেপি নেতারা নিচুতলাকে বাঁধতে চাইলেও কাজ বিশেষ হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের হুগলির এক পরিচিত নেতা বলেন, সাপের কামড় তো মাথায়, বাঁধন দেবে কোথায়? যদিও দলের ফতোয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন হুগলি জেলার মিডিয়া ইনচার্জ তথা শ্রমিক নেতা সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা রাস্তাঘাটে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করবেন কেন? যদি করতেই হয়, তাহলে দলের মধ্যেই তা করা উচিত। শৃঙ্খলা না মানার কারণেই নেতা-কর্মীদের ডেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কোনও ব্যতিক্রম হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার কথা জেনে হাসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ, দলের সর্বোচ্চ নেতাই তো দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করার বন্দোবস্ত করছেন। ফলে দলের নিচুতলার কর্মীরাও সেই পথ অনুসরণ করছেন। আমরা এতদিন জানতাম ওঁরা সাধারণ মানুষ, বিরোধী দলের সমালোচনা শুনতে পারেন না। এখন দেখছি, দলের কর্মীদের সমালোচনাও সইতে পারছেন না। বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁরা এমন একটা দলের হাতে বাংলাকে তুলে দেননি বলে।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হুগলি জেলা নিয়ে
প্রত্যাশার হিমালয়ে চড়ে বসেছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পোস্টগুলি দেখলে যেন মনে হতো, তাঁরা ক্ষমতায় চলেই এসেছেন। তেমনই তা নিয়ে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতাও চলত। কিন্তু নির্বাচনে আমজনতা গেরুয়া বাহিনীকে শুধু মাটিতেই নামায়নি, প্রায় পাতালেও প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। এরপরই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে পারস্পরিক দোষারোপের পালা। দলের একাধিক ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে অন্দরে-বাইরে সমালোচনার শিকার
হয়েছে নেতৃত্ব। লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়— কাউকেই ছাড় দিচ্ছেন না সাধারণ বিজেপি কর্মীরা। এমনকী, খোদ রাজ্য সভাপতির চুঁচুড়া
সফরেও কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল। দলের ভাবমূর্তি সামাল দিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা না করার ফতোয়া দিতে হল নেতৃত্বকে। বলা বাহুল্য, পাশার দান উল্টে যাওয়ায় একদা গর্বের সোশ্যাল মিডিয়া এখন কাঁটার মতো বিঁধছে গেরুয়া কর্তা-কর্ত্রীদের। একেই বোধহয় বলে উলট-পুরাণ!