শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
জেলার প্রতিটি ব্লকেই কিছু কিছু রাস্তার সমস্যা আছে। অনেক জায়গায় শুধু মোরাম ফেলা রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় গ্রামবাসীদের। বর্ষাকালে সেইসব রাস্তায় জল জমে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তবে, জেলার ২৩টি ব্লকের অধিকাংশ গ্রামের ভিতরে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার আওতায় কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিছু প্রান্তিক গ্রামে কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধায় পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাই বর্ষার আগেই সেইসব রাস্তার কাজে হাত লাগাতে চাইছে পূর্তবিভাগ।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, নাবার্ডের সাড়ে ১৮ কোটি টাকার একটি ফান্ড এসেছে। চারটি ব্লকে ২০ কিলোমিটার বড় রাস্তা তৈরি হবে। পাশাপাশি, আরও ৬০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করবে জেলা পরিষদ। খুব শীঘ্রই সেই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। তারজন্য প্রস্তুতি চলছে।
করোনা পরিস্থিতি ও আত্মশাসনের জেরে জেলার একাধিক কাজ আটকে ছিল। তারপর দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনের জেরে জেলার অনেক জায়গায় রাস্তার কাজও বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে সেই কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি মিলেছে জেলাবাসীর। বর্ষার আগে কিছু কিছু রাস্তার বেহাল অবস্থার জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। তাই পূর্তদপ্তর তড়িঘড়ি কাজে শুরু করে দিতে চাইছে। যাতে পুজোর আগে বেশ কয়েকটি নতুন রাস্তা চালু করতে পারে জেলা পরিষদ।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই চাইছেন দ্রুত মানুষের সমস্যার সমাধান হোক। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। তারপর নির্বাচন শুরু হওয়ায় কাজ থমকে যায়। ফের সেগুলি শুরু করা হচ্ছে। খুবই দ্রুত জেলার মোট ৮০ কিলোমিটার রাস্তা আগে শেষ করা হবে।
জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবে খুশি জেলার মানুষ। মেমারি-১ ব্লকের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বেশকিছু গ্রামের রাস্তা নিয়ে সমস্যা আছে। কোথাও এখনও মোরাম ফেলা রাস্তা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি শুরু হতেই ওইসব রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত রাস্তার কাজ হবে বলে শুনছি। ওই কাজ শেষ হলে আমাদের মতো অনেকের সমস্যা মিটে যাবে।