শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর থেকেই বাঁকুড়া সহ গোটা রাজ্যেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে। যদিও শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতিদের খাদ্য সামগ্রী বিলির কাজ চলছিল। কোথাও অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী, সহায়িকারা উপভোক্তাদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সমাগ্রী দিয়ে আসছিলেন। কোথাও আবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই উপভোক্তাদের জন্য ‘সেফটি সার্কেল’ তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, নির্বাচনের কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাদ্য সামগ্রী বিলির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েন উপভোক্তারা।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাদ্য সামগ্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন দুঃস্থ পরিবারগুলি। বহু দুঃস্থ পরিবার নিয়ম করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপভোক্তারা সমস্যায় পড়েন। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, সেন্টার বন্ধ থাকার ফলে শিশু ও তার মায়েরা পুষ্টির অভাবে ভুগছে। দুঃস্থ পরিবারগুলি এই সমস্যা বেশি। প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকেই জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হবে। আগামী ২০ জুনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের কাজ শেষ করতে হবে বলে রাজ্য নির্দেশ দিয়েছে। উপভোক্তা পিছু দু’ কেজি চাল, দু’ কেজি আলু ও ৩০০ গ্রাম ডাল দেওয়া হবে। চাল, ডাল খাদ্য সরবরাহ ও গণ বণ্টন দপ্তরের পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, আলু স্থানীয় বাজার থেকে কিনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৫৬৮৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। তার অধীনে ছ’মাস থেকে ছ’বছর পর্যন্ত বয়সি ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ৬৩৫১১ জন গর্ভবতী ও প্রসূতি রয়েছেন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ১৩ টাকা কেজি দরে জেলায় আলু কিনে তা বিলি করা হবে। এছাড়া করোনার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে বলা হয়েছে। ভিড় যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখার জন্য প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
নয়না সিনহা রায় নামে অঙ্গনওয়াড়ির এক উপভোক্তা বলেন, আমাদের মতো মানুষের জন্য এই সেন্টারগুলি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের সেন্টার বন্ধ থাকায় ছেলের ওজন, উচ্চতা অনেকদিন মাপা হয়নি। ফলে সন্তানের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটাও বুঝতে পারছি না। তার উপর কয়েক মাস খাবার দেওয়া বন্ধ। করোনার জন্য তেমন কাজকর্মও নেই। এখন বহু বাড়িতে রেশনের চালই ভরসা। এই অবস্থায় সেন্টারে খাদ্য সামগ্রী দিলে খুবই উপকার হবে।