শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
প্রশ্ন হল, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হলেও কি মাস্ক ছাড়া ঘোরা যাবে? পিয়ারলেস হসপিটাল অ্যান্ড বিকে রয় রিসার্চ সেন্টারের পিয়ারলেস হসপিটাল অ্যান্ড বিকে রয় রিসার্চ সেন্টারের ডিপার্টমেন্ট অব ক্লিনিক্যাল রিসার্চের প্রধান ডাঃ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, প্রথমত আমাদের মনে রাখতে হবে সিডিসি কিছু শর্তসাপেক্ষে আমেরিকার নাগরিকদের দেশের মধ্যে মাস্ক ছেড়ে ঘোরাঘুরি করার পক্ষে রায় দিয়েছে। আর ভারতে হু অনুমোদিত ভ্যাকসিন এখন একটিই। তা হল অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড। কিন্তু শুধু এই একটি ভ্যাকসিন দিয়ে আমাদের দেশে মহামারী রোধ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য কার্যকরী ভ্যাকসিনকেও কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া হার্ড ইমিউনিটি’র জন্য দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে সংক্রামিত হতে হবে অথবা ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হলে বা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও মাস্ক ছাড়া ঘুরতে পারবেন কি না তা এখনই বলার সময় আসেনি। এখনও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন আছে। তাই দু’টি ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার পরেও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করছে হু। তাছাড়া আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেলেও, বাকি ২০ শতাংশ সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবেন কি? মনে রাখতে হবে ২০ শতাংশ মানুষের সংখ্যা কিন্তু ২৫ কোটিরও বেশি! এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদে রাখতে হলে আপাতত কিছুদিন মাস্ক পরেই চলা উচিত। এমনকী ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ পাওয়ার পরেও মাস্ক পরে থাকতে হবে বেশ কিছুদিন। অপেক্ষা করতে হবে, বিজ্ঞানীদের আশ্বাসবাণী না পাওয়া অবধি।