সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সেই অনুষ্ঠানে উঠে এল, গত বছর ২১ মে কলকাতার আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালে ঘটেছিল বাংলায় প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপনের ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের স্কুলশিক্ষক দিলচাঁদ সিং-এর দেহে সেই হার্ট প্রতিস্থাপিত হয়। তারপর গত এক বছরে নয় নয় করে মোট আটজনের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তাঁরা সবাই সেদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। আলাদাভাবে তাঁর হার্ট ও শরীরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা শোনাচ্ছিলেন দিলচাঁদ। তিনি জানালেন, খাওয়া-দাওয়াটাই যা একটু কম মশলাযুক্ত করতে হয়। না হলে এখন কোনও বাধাই নেই। এমনকী শুনলে অবাক হতে হয়, দিলচাঁদ বাইক চালিয়ে অফিস বা স্কুলে যাতায়াত করেন। উপস্থিত প্রত্যেকেই দিলচাঁদের সাহসের তারিফ করছিলেন। কারণ বাংলায় প্রথম অতবড় অপারেশনটা ঘটেছিল তাঁর বুকেই।
উপস্থিত চিকিৎসকদের প্রায় সবার বক্তব্যই ছিল, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দাতা বা ডোনারকে অঙ্গদানে আরও বেশি করে উৎসাহী করে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে কোনও জটিলতা তৈরি হলে (অর্থনৈতিক বা অন্য কিছু) তবে সরকারের উচিত তার সমাধান করে দেওয়া। তাঁরা আরও আলোচনা করেন, শহরের হাইওয়ে বা গুরুত্বপূর্ণ যেসব জায়গায় দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে, সেসব অঞ্চলের নিকটবর্তী হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এমন করে গড়ে তোলা উচিত যাতে ব্রেন ডেথ হওয়া মাত্রই মানুষের অঙ্গ দ্রুত সরবরাহ বা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে ইদানীংকালে পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গদানের ঘটনা যে বেড়েছে সে ব্যাপারে সবাই প্রায় সহমত হন। এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রফেসর ডক্টর অর্পিতা রায়চৌধুরি এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্র মডেল অনুসরণের প্রস্তাব দেন।