সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সমস্যার মূলে
আসলে বর্ষাকালে আবহাওয়া খুব তাড়াতাড়ি বদলে যায়। অর্থাৎ এই প্রখর সাদা রোদ তো পরক্ষণেই বৃষ্টি। এসবের সঙ্গে আবার জড়িয়ে রয়েছে আর্দ্রতাজনিত সমস্যা। এই নির্দিষ্ট সময়ে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় একধরনের অস্বস্তি কাজ করে। এমন আবহাওয়ায় জ্বর-সর্দি সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলি অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়া আবহাওয়ার এই দ্রুত বদল মানুষের শরীরের তাপমাত্রারও অনেকটাই পরিবর্তন ঘটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) কমিয়ে দেয়। ফলে খুব সহজেই মানুষ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হন। মূলত রাইনো ভাইরাস ও রেসপিরেটরি সিনসাইট্যাল ভাইরাসের কারণেই মানুষ এই সমস্যায় পড়েন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
জ্বর— বর্ষাকালে জ্বরে আক্রান্ত হলে অ্যাকোনাইট, ডালকামরা, রাসটক্স, ন্যাট্রাম সালফ, ব্রায়োনিয়া— এই ওষুধগুলির ৩০ বা ২০০ শক্তির দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর এক ফোঁটা করে খেলে উপকার মিলবে। জ্বরের সঙ্গে শরীরে তীব্র ব্যথা থাকলে ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়েটাম ওষুধটি একই নিয়মে খেলে ভালো ফল মেলে।
এই আবহাওয়ায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপও বেশ বেড়ে যায়। তাই দুই-তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করানো দরকার।
সর্দি, কাশি— সর্দিতে অ্যাকোনাইট, ডালকামরা, রাসটক্স, হিপার সালফ, বেলেডোনা, জেলসিমিয়াম ওষুধগুলির ৩০ বা ২০০ মাত্রায় দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর এক ফোঁটা করে খেলে সমস্যা কমবে। কফের রং সবুজ, রোগীর জল তৃষ্ণা নেই— এমন লক্ষণে পালসেটিলা ৩০ বা ২০০ মাত্রার ওষুধটি একই নিয়মে খেলে খুব ভালো কাজ করে। জাস্টিশিয়া অ্যাডাটোডা ওষুধটি ১০ থেকে ২০ ফোঁটা সামান্য জল সহ বারবার খেলে কফ বেরিয়ে আসে। এছাড়া সর্দির ধাত থাকলে এই ওষুধটি দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে অনেকাংশে সর্দি প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
কাশির সঙ্গে কফ উঠে আসলে ব্রায়োনিয়া, হিপার সালফ, স্পঞ্জিয়া, ইপিকাক— এই ওষুধগুলি ৩০ বা ২০০ মাত্রা দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর ১ ফোঁটা করে খেলে উপকার মিলবে।
আবার অনেক রোগীর কাশির সঙ্গে কফ ওঠে না। শুকনো কাশি হয়। সেক্ষেত্রে রিউমেক্স, হায়োসিয়ামার, কক্কাস ক্যাকটাই, ম্যাগ ফস ইত্যাদি ওষুধ একই নিয়মে খেতে পারেন।
গলা ব্যথা— প্রচুর মানুষ এই নির্দিষ্ট সময়ে গলা ব্যথায় আক্রান্ত হন। মূলত ফ্যারিঞ্জাইটিস, টনসিলাইটিসের মতো অসুখ থেকে গলা ব্যথা হয়। এই দু’টি সমস্যার কারণে গলায় ব্যথা হলে অ্যাকোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, হিপার সালফ ইত্যাদি ওষুধগুলি তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর এক ফোঁটা করে খেলে উপকার মিলবে।
মনে রাখবেন
হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে মানুষভেদে ওষুধ বদলে যায়। তাই রোগের তীব্রতা খুব বেশি থাকলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।