পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
কিল বিলড টুক্যান: বেলিজ, মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা প্রভৃতি দেশের জঙ্গলে পাওয়া যায় এই আশ্চর্য সুন্দর পাখি। দেখে মনে হবে যেন কোনও শিশু নিজের ইচ্ছেমতো রং ছড়িয়ে দিয়েছে। ঠোঁটের উপরটা সবুজ, আবার পাশটা কমলা, সামনেটা বেগুনি, নীচে কিছুটা আকাশি নীল! বুকটা হলদে, পিঠ কালো আর পা দুটো নীল। চোখ ধাঁধিয়ে যায় এদের সামনে থেকে দেখলে।
বসন্তবৌরি: ইংরেজি নাম ব্লু থ্রোটেড বার্বেট। ভারতে অনেক জায়গায় দেখা যায় এই পাখি। এই পাখি সাধারণত গাছের কোটরে বাসা করে। এরা নানারকম ফল খায় এবং ফলের বীজ ছড়িয়ে গাছের বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ইন্ডিয়ান পিট্টা: এই ছোট্ট পাখিটি থাকে জঙ্গলের ঝোপঝাড়ের মধ্যে। ঘাসের মধ্যে থেকে পোকা খুঁটে খুঁটে খায়। এদের গায়ের রং এমন যে সহজেই জঙ্গলের ঘাসপাতার মধ্যে ক্যামোফ্লেজ করতে পারে। পেটটা বাদামি-হলুদ, ডানা সবুজ, লেজের দিক লাল আর চোখের দুপাশে জলদস্যুদের মতো কালো ব্যান্ড! রঙের বাহারের জন্য পাঞ্জাবি ভাষায় এই পাখির নাম ‘নঔরঙ্গা’।
ধনেশ: রুফাস নেকড হর্নবিলের রূপ অসাধারণ। অর্থাৎ এটি একধরনের ধনেশ পাখি। বিশাল বড় ঠোঁটের দু’পাশে যেন কোনও শিল্পীর নিপুণ তুলির টানে কালো জ্যামিতিক দাগ দেওয়া আছে। চোখের চারপাশে নীল রং চশমার মতো। পুরুষ পাখির মাথা লালচে খয়েরি। স্ত্রী পাখির মাথার পালক কালচে হয়।
রেড হেডেড ট্রোগান: এই পাখির মাথা ও বুকের নীচের দিকটা লাল, ডানায় নানারকম কালো নকশার কারিকুরি। ঠোঁটের রং কোবাল্ট নীল, বুকে ক্রিমসন রঙের মধ্যে একটা ছোট্ট সাদা দাগ থাকে। লেজের পালক খয়েরি, সাদা আর কালোর মিশ্রণ। জঙ্গলের নানারকম পোকামাকড় খেয়ে এরা বেঁচে থাকে।
স্কারলেট ব্যাকড ফ্লাওয়ারপেকার: এক আশ্চর্য সুন্দর পাখি। মাথার উপর দিয়ে লেজ পর্যন্ত চলে গিয়েছে একটা আগুন রঙের লাল দাগ। যেন, কেউ সিঁদুর আঙ্গুলে নিয়ে সামনে থেকে লেজ পর্যন্ত দাগ দিয়ে দিয়েছে। ডানা কালো আর নীল, পেট সাদা। ডুমুর জাতীয় ফল এদের প্রধান খাদ্য।
হিমালয়ান কিউটিয়া: নেপাল ও ভুটানে এই ধরনের পাখি প্রচুর দেখা যায়। পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে এই পাখি থাকে। নীল-সাদা-কালো-খয়েরি মিলে এদের গায়ের রং। এদের পিঠের দিকে ডানার পালকের যে রং, সেটা লালও নয়, খয়েরিও নয়। অনেকটা লালচে বাদামি। পাগুলো উজ্জ্বল হলদে।
এরকম হাজার হাজার রংবেরঙের পাখি ছড়িয়ে আছে আমাদের চারদিকে।