পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গল্পের আসর শেষ করে ডলি জানালেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করছি। আমার নিজেরও শ্রবণে সমস্যা রয়েছে। কথায় কথায় ওদের (সংস্থা) বললাম এরকম একটা গল্প পাঠের আসর আয়োজন করা যায় কি না। একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর আরও কয়েকজনকে গল্প শোনানোর আর্জি আর কী! ওরা রাজি হতেই এটা সম্ভব হল।’ এই কাজে দৃশ্যতই খুশি ডলি বললেন, ‘গল্পের মাধ্যমেই আমরা ছোটদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারি। তাই গল্প শুনিয়ে ওদের আনন্দ দিতে পারছি, এটা ভাবলেও ভালো লাগে।’
একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রাশি’তে ডলির চরিত্রের নাম ছিল ‘অপলা রায়’। সেই চরিত্রের নামে এখনও তিনি রয়ে গিয়েছেন দর্শকের হৃদয়ে। তবে দীর্ঘদিন তিনি টেলিভিশনে কাজ করেননি। তার কারণ জানতে চাইতে ডলির সপাট জবাব, ‘দর্শক অপলা রায়কে মনে রেখেছে, এটা খুব ভালো লাগে। আসলে এখনকার গল্পগুলো আমার পছন্দ হয় না। আর টেলিভিশনে কাজ করলে আরেকটা সমস্যা হয়, তিন-চার বছর স্টুডিওতে আটকে পড়তে হয়। অন্য কোনও ক্রিয়েটিভ কাজ করার সুযোগ থাকে না।’ ‘রাশি’র পর ‘রাধা’, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’ সহ একাধিক ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। তবু অপলা রায়ের মতো জনপ্রিয়তা পায়নি সেই চরিত্রগুলি। খারাপ লেগেছিল? অভিনেত্রী বললেন, ‘আসলে ‘রাশি’ একটা সম্মিলিত কাজ ছিল। সকলে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন। কাজ করেও খুব তৃপ্তি পেতাম। তবে শেষের দিকে এই বিষয়গুলির পরিবর্তন হতে শুরু করে। শৃঙ্খলা ভেঙে গিয়েছিল। তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম একসময়ে।’ বর্তমানে ধারাবাহিকের দু’তিন মাসে শেষ হয়ে যাওয়ার ট্রেন্ডকে স্বাগত জানালেন ডলি। তাঁর কথায়, ‘একটা গল্পকে টেনে টেনে না বাড়িয়ে নতুন কিছু আরম্ভ করা ভালো। আসলে টেলিভিশন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন মাধ্যম। তার গুণমান ভালো হওয়াই কাম্য।’