পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ভারতীয় রেলের এই স্বীকৃতিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ভীষণ খুশি। জাতীয় উদ্যানের প্রতিটি বনকর্মী রেলের এই অভিনব স্বীকৃতিকে দু’হাত ভরে স্বাগত জানিয়েছে। জলদাপাড়া নামের ওই সুদৃশ্য ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিন এখন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাট ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস নিয়ে চলে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, জলদাপাড়া দেশের একমাত্র জাতীয় উদ্যান যেখানে একশৃঙ্গ গন্ডারের সংরক্ষণের কাজ দারুনভাবে হচ্ছে। জলদাপাড়ার শীর্ষ কর্তারা ও প্রতিটি বনকর্মী অক্লান্তভাবে গন্ডার সংরক্ষণের কাজ করে যাচ্ছেন। এই জাতীয় উদ্যান ও তার একশৃঙ্গ গন্ডার দেশের হেরিটেজ। সেই জন্যই জলদাপাড়া কর্তৃপক্ষকে কুর্নিশ জানাতেই রেলের এই পদক্ষেপ।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীন কাসোয়ান বলেন, ভারতীয় রেলের এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। স্বীকৃতিতে আমাদের কাজের দায়িত্ব আরও আরও বেড়ে গেল। বর্তমানে দেশের এই জাতীয় উদ্যানে ২৯২টি গন্ডার আছে।
ওই ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনে ‘জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক’ লালকালির অক্ষরে লেখা হয়েছে। ইঞ্জিনের গায়ে আঁকা হয়েছে একশৃঙ্গ গন্ডারের ছবিও। ইঞ্জিনটির সামনের সিংহভাগ অংশে সবুজ রং করা হয়েছে। ইঞ্জিনের গায়ে ব্যবহার করা হয়েছে প্রকৃতি ও জঙ্গলের সবুজ রং। ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়ার্সের নদীনালা ও পাহাড়ের সবুজ রং। তারই মধ্যে আঁকা হয়েছে একশৃঙ্গ গন্ডারের ছবি। রেল যাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই ইঞ্জিন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লোকোমোটিভ ইঞ্জিনটিতে এই রং করা ও গন্ডারের ছবি আঁকার কাজ করেছেন বাবাই দে, সৌরভকুমার দাস ও বিক্রম ছেত্রী। রেল জানিয়েছে, দ্বিতীয় আর কোনও লোকোমোটিভ ইঞ্জিনে জলদাপাড়া নাম ব্যবহার করা হবে না। অর্থাৎ জলদাপাড়া নামে ভারতীয় রেলে একটিই রেল ইঞ্জিন থাকবে।
রেলের অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পর্যটন মহলও। জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, জলদাপাড়া ও তার একশৃঙ্গ গন্ডার দেশের হেরিটেজ মুকুট। রেলের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে রেল যাত্রীদের কাছে। রেলের এই উদ্যোগকে আমরাও স্বাগত জানাচ্ছি।