পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি জলপ্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল ঠিকমতো মিলছে না। বিশেষ করে গরমের মরশুমে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে মানুষের। সমস্যার কথা জেনে সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর জল সরবরাহ করেছে। কিছুটা সুরাহা হলেও তাতে সার্বিক জলসঙ্কটের সমাধান হয়নি। মগরা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেন, ‘সমস্যা আছে এটা সত্য। আমরা এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে গরমের মরশুমে মানুষকে কিছুটা সাহায্য করা গিয়েছে। তবে এই প্রকল্প বহু পুরনো। জনস্বাস্থ্য দপ্তর প্রকল্পটি নতুন করে তৈরি করতে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এই বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চায়নি। তবে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটিতে বহুবার বহু পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে নতুন করে প্রকল্প তৈরি করা ছাড়া সমস্যা মেটানো কঠিন। আর হুগলির জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেব।’
স্বপন দে নামে জয়পুরের প্রামাণিক পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমোদঘাট জলপ্রকল্প থেকে বেশিরভাগ সময়ই সঠিকভাবে জল মেলে না। এ নিয়ে আমরা বহুবার অভিযোগ করেছি। অস্থায়ীভাবে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।’ রবীন্দ্রনাথ রায় নামে জয়পুরের মালিবাগানের এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই গরমে সুতোর মতো ধারায় জল পড়ছে। বিরাট সমস্যার মুখে আমরা। গরমে পানীয় জলের যখন বেশি প্রয়োজন পড়ে তখন জল না মেলায় গ্রামে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৯ সালে এই প্রকল্প তৈরি হয়। তখন রাস্তার ধারের স্ট্যান্ড পোস্টের মাধ্যমে জল সরবরাহ হতো। এরপর ২০১৫ সালে প্রকল্পটির বিস্তার ঘটিয়ে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে মগরা এক ও দুই নম্বর পঞ্চায়েতে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়া শুরু হয়। তবে ইতিমধ্যে জনবসতি বহরে বেড়েছে। ফলে জলের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু পুরনো প্রকল্প ও তার পুরনো কারিগরি ব্যবস্থা সেই চাহিদা মেটাতে পারছে না। তার ফলেই তৈরি হচ্ছে জলসঙ্কট।